নাশকতাকারীরা যেন ঢাকা না ছাড়তে পারে পরিকল্পনা ডিএমপির
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপস্নব কুমার সরকার বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় যারা সহিংসতা করেছে তারা যেন ঢাকা শহর না ছাড়তে পারে সেই লক্ষ্যে ডিএমপি পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন। বিপস্নব কুমার সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত ২০০টি মামলায় দুই হাজার ১০০ জনের বেশি সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কিছু মামলা দায়ের হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যারা প্রকৃতপক্ষে বিটিভি ভবনে হামলায় জড়িত ছিল, যারা প্রকৃতপক্ষে সেতু ভবনে হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, যারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল ধ্বংস করার কাজে নিয়োজিত ছিল, গ্রেপ্তার দুই হাজার ১০০ জনের মধ্যে প্রত্যেকের কন্ট্রিবিউশন ছিল। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে ও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, দেশে উন্নয়নের যে জোয়ার প্রধানমন্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, এই সন্ত্রাসী চক্র কিন্তু বেছে বেছে সেগুলোতে হামলা করেছে। প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়ন করেছেন দেশে, সেই উন্নয়নের যাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য, যেখানে থেকে উন্নয়নের কার্যক্রমগুলো পরিচালনা হচ্ছে, সেগুলোকে বেছে বেছে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। সব নথিপত্র তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এসব জামায়াত ও বিএনপি চক্রকে ধরার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, ডিএমপি তাই করবে। সন্ত্রাসীদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার জন্য ডিএমপি কাজ করছে। নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো এক জঙ্গি গ্রেপ্তার ম যাযাদি রিপোর্ট নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য ফারুক আহমেদকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের প্রেমের বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সপ্তাহে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার পর পালিয়ে যান তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজীনগরের্ যাব-১১-এর ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার ফারুক আহমেদ নরসিংদীর মাধবদী থানার নুরালাপুর এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। ২০২২ সালে সিলেটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করের্ যাব। পরে তিনি জঙ্গি তৎপরতায় দেশদ্রোহী কাজে জড়িত বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর পর থেকে ফারুক নরসিংদী জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই হাজারো মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা কারাগারের ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে ফেলে। সেখান থেকে ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যান। এ সময় অস্ত্র, গোলাবারুদ, খাদ্যপণ্য লুট ও ব্যাপক ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলা কারাগারের ৪ নম্বর সেলে ফারুক আহমেদের সঙ্গে ছিলেন আনসারুলস্নাহ বাংলা টিমের তিন জঙ্গি হিজবুলস্নাহ, আবদুল আলীম ও মঈনুদ্দিন। সুযোগ বুঝে তারা কারাগার থেকে পালিয়ে যান। আসামি ফারুক দুই দিন বোনের বাসায় ছিলেন। পরে ২২ জুলাই সোনারগাঁওয়ে প্রেমের বাজার এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।