খুলেছে মার্কেট ও দোকানপাট ক্রেতা কম
প্রকাশ | ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন, কারফিউ ও সাধারণ ছুটিকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহ পুরোপুরি অচল ছিল রাজধানী। এ সময় অফিস-আদালতের পাশাপাশি বন্ধ ছিল শপিং মল ও দোকানপাট। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বেড়েছে কারফিউর শিথিলের সময়। এর ফলে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে শপিং মল ও দোকানপাট।
রাজধানীর খিলগাঁও, তালতলা, নয়াপল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বড় বড় শপিং মলগুলো খুলেছে। পাশাপাশি দোকানপাটও খুলতে দেখা গেছে। তবে মার্কেটের সামনের সারির দোকান খুললেও ভেতরের দোকানগুলো বন্ধ ছিল। মার্কেটে ক্রেতাও তেমন দেখা যায়নি।
এদিকে ফুটপাতকে কেন্দ্র করে যেসব দোকানপাট গড়ে উঠেছিল সেগুলো এখনো বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকানপাট খুললেও এখনো ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক রয়ে গেছে। আবার খুব বেশি সময় দোকান খোলা রাখাও সম্ভব হবে না। তাছাড়া দোকানে কোনো ক্রেতা নেই। তাই এখন দোকান খোলা মানে লোকসান আরও বাড়ানো।
রাজধানীর পল্টন চায়না টাওয়ারের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, বাসায় বসে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে এসেছে। তাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসে দোকান খুলেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিক্রি হয়নি।
এই মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আজ (বুধবার) যে বিক্রি হবে না এটা জেনেই এসেছি। মূলত দোকানের মালামাল কেমন আছে, কিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কি না, ইঁদুর বা অন্য কিছু ঢুকে কাপড় নষ্ট করে ফেলছে কি না সেসব দেখতে এসেছি।
চায়না টাওয়ারের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের নিচতলার সামনের দিকের দোকানগুলো খোলা ছিল। ভেতরের দোকানগুলো এখনো বন্ধ। একই অবস্থা দেখা গেছে বিপরীত পাশের পলওয়েল সুপার মার্কেটেও।
পলওয়েল সুপার মার্কেটের এক কাপড় দোকানি বলেন, এই মার্কেটে খুচরা বেচাকেনা কম হয়। ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরাই এই মার্কেটের ক্রেতা। আশা করছি আগামী সপ্তাহে পুরো মাত্রায় বেচাকেনা শুরু হবে।
অন্যদিকে, রাজধানীর বিজয় নগর এলাকার চশমার খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলো খুললেও তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি। দোকানিরা বলছেন, মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্ক রয়ে গেছে। তাই এ অবস্থায় বেচাকেনা কম হওয়াটাই স্বাভাবিক।