শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল হতে পরামর্শ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৬:৫৯

যাযাদি ডেস্ক
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা নিয়ে দেশব্যাপী সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। বিশেষ করে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছে সমিতি। বৃহস্পতিবার পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শোক প্রকাশ করে সমিতির পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সহিংসতার ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল ড. কাজী আনিস আহমেদ সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। একইসঙ্গে সহিংসতার ফাঁদে পা না দিয়ে কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে আদালতের সুচিন্তিত রায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই। বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে দেওয়া সময়োচিত ভাষণকে স্বাগত জানানো হয়। বিশেষত চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাঙ্গনে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ পরিহার ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দৃঢ় পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি সংক্রান্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতিশীল মানসিকতা থেকে ২০১৮ সালে কোটা প্রথা রহিত করার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানানো হয়। বর্তমানে বিষয়টি উচ্চ আদালতের এখতিয়ারাধীন শুনানির অপেক্ষায় বিধায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বিদ্যমান। সংবিধান সমুন্নত রাখা স্বাধীন দেশের সব নাগরিকের একান্ত কর্তব্য। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায়ের জন্য নির্ধারিত শুনানির দিন পর্যন্ত অপেক্ষার বিকল্প নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি জানায়, দেশের ভবিষ্যৎ হিসেবে সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ ও স্নেহশীলতার কোনো ঘাটতি নেই। তাদের যে কোনো চাওয়া কিংবা সমস্যা সমাধানের জন্য অভিভাবক শ্রেণি, শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী সমাজ সবসময় তাদের পাশে থাকবে। সেক্ষেত্রে স্বার্থান্বেষী মহলের যে কোনো আত্মঘাতী প্ররোচনা থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখার দায়িত্বটুকু শিক্ষার্থীদের সচেতনভাবে পালন করা জরুরি।