পবিত্র আশুরা উপলক্ষে এবারের তাজিয়া মিছিল ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব পড়তে পারে মিছিলে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বলস্নম, তরবারি ও লম্বা লাঠি বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হঠাৎই কাউকে মিছিলে প্রবেশ করতে না দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে কড়া নির্দেশনা আছে। মিছিলে উচ্চশব্দে ডাকঢোল বাজানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আশুরার দিন ইমামবাড়ার আশপাশের রাস্তায় কঠোরভাবে যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকার চানখাঁরপুল, বকশীবাজার মোড়, হোসনি দালানসহ আশপাশের অন্তত আধাকিলোমিটার এলাকাজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। বহুতল ভবনগুলোর ছাদে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। হোসনি দালানের প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর। দুটি পকেট গেটে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তলস্নাশি চলছে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করছে পুলিশ ওর্ যাব। আশপাশে থাকা সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার সবাইকে পরিচয়পত্র নিয়ে চলাফেরা করতে বলেছে পুলিশ।
এ ছাড়া হোসনি দালান কর্তৃপক্ষ বিশাল মনিটর দিয়ে ৩২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকার ওপর নজর রাখছে। হোসনি দালানের দক্ষিণ গেট দিয়ে শুধু ইমামবাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চলাচল করতে পারবেন। গেটে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
হোসনি দালানের স্বেচ্ছাসেবক ও হোসাইনি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ফারহান হোসাইন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাত দিয়ে যায়যায়দিনকে বলেন, বুধবার হোসনি দালান থেকে বের হওয়া তাজিয়া মিছিল সংক্ষিপ্ত করতে বলা হয়েছে। মিছিলটি চানখাঁরপুল, বকশী বাজার, পলাশী, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকা হয়ে প্রতীকী কারবালা প্রান্তর হিসেবে পরিচিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সামনে অবস্থিত ধানমন্ডি লেকে গিয়ে শেষ হবে। ডগ স্কোয়াড দিয়ে পুরো এলাকা তলস্নাশি করা হয়েছে। নজরদারিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে চলমান অস্থিরতার বিষয়টিকে মাথায় রেখে এবার তাজিয়া মিছিল ঘিরে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও।