মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
চট্টগ্রাম বন্দর

চলতি বছরই ৬ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের আশা

সন্‌জীব নাথ, চট্টগ্রাম
  ১৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
চলতি বছরই ৬ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের আশা

চট্টগ্রাম বন্দরে চলতি বছর বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৬ থেকে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। ডেনমার্কের মার্কস লাইন, আরব আমিরাতের ডি পি ওয়ার্ল্ড, আবুধাবী পোর্ট অথরিটি ও সিঙ্গাপুরের সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি ডলার বিনিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর করবে।

নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'বিভিন্ন শিপিং লাইন এবং টার্মিনাল অপারেটররা এখন চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। শুধু বন্দর কেন্দ্রিক পণ্য হ্যান্ডলিং নয়, অনেকটা ল্যান্ড লর্ড বা জমিদারি প্রথায় ফিরছে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর ব্যবহার এবং বিনিয়োগে একের পর এক বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ বাড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দেশ ও চট্টগ্রামবাসীর ক্ষতি হয়, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।'

বিলিয়ন ডলার লাভের আশায় চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড ও টার্মিনাল বিনিয়োগের জন্য দেওয়া হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে। সরকার বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাগত জানালেও বন্দর পরিচালনায় দেশি বিনিয়োগকারীদের সমান সুযোগ দেওয়ার দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।

বঙ্গোপসাগরের মোহনা ঘেঁষে গড়ে ওঠা পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালে ভিড়ছে বিদেশি জাহাজ এবং চলছে জাহাজে কন্টেইনার ওঠানামাও। নিরাপত্তা সরঞ্জাম এবং নির্ধারিত পোশাক পরেই কাজ করছেন দেশি-বিদেশি শ্রমিকেরা। প্রথমবারের মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠান হিসাবে এই কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে সৌদি আরব ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রেড সী গেটওয়ে। এই পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল এখন বিদেশি বিনিয়োগের রোল মডেল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, 'কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, জাপান, ডেনমার্ক, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন এই বন্দরের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যেহেতু এটা একটি আন্তর্জাতিক বন্দর, তাই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এই আগ্রহকে বন্দর কর্তৃপক্ষ স্বাগত জানায়। এসব আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে একত্রে এই বন্দরের উন্নয়ন করা সম্ভব।'

শুধু পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল-পিসিটি নয়, বন্দরের নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল-এনসিটি, বে টার্মিনালের তিনটি টার্মিনাল ও লালদিয়ার চরেও আসছে বিদেশি বিনিয়োগ। এনসিটি-সিসিটি এবং জেসিবিসহ বন্দরের জেটিগুলো পরিচালনা করছে বেশ কয়েকটি দেশীয় অপারেটর প্রতিষ্ঠান। ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়তে থাকলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, 'চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন কাজের জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সমান সুযোগ দিতে হবে। সমান সুযোগ দেওয়া হলে, বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে। কাজটাও মানসম্পন্ন হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে