বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পরিষ্কার বোঝা যায় দেশে সংকট রয়েছে। বিদ্যমান সংকট হলো গণতন্ত্রহীনতার সংকট। অনাচারের দেশ ছেয়ে গেছে। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি হচ্ছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্নীতি করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। এসব বিদ্যমান সংকট সমস্যা সমাধানে এক দফা কর্মসূচি চলছে। এক দফা আন্দোলনের বাস্তবায়ন ছাড়া দেশের সংকটের সমাধান হবে না।
রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা দুর্নীতি আর লুটপাট করে দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সরকার তাদের নিরাপদে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই। মিথ্যা মামলা দিয়ে বছর পর বছর তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছেন না। আদালতের দোহাই দিয়ে খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
কোটা সংস্কারের আন্দোলন সম্পর্কে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, কোটা বাতিল নয় সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। কোটা সংস্কার নিয়ে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন চলছে, আন্দোলন ঝিইয়ে রাখা ঠিক না। সরকারে উচিত কোটা সংস্কারের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের যুক্তিসঙ্গত দাবির প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে।
১২ দলীয় জোট লিয়াজোঁ কমিটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায় ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম।