মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও দেশটির জান্তা বাহিনীর মধ্যে লড়াই থামেনি। শনিবারও মর্টার শেল ও গোলার ভারী শব্দ শোনা গেছে। পাশাপাশি রাখাইনে আগুনের কুন্ডলী ও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এতে টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়া পাড়া থেকে সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যের সুদাপাড়া গ্রামে ধোঁয়ার কুন্ডলী উড়তে দেখা যায়।
টেকনাফ পৌরসভার সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাদের বলেন, 'ওপারে সুদাপাড়া গ্রামে বিকট শব্দ শোনা গেছে। এরপরই আগুনের কুন্ডলী দেখা যায়। তবে সকালে সীমান্ত কিছুটা শান্ত ছিল।
টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মুহাম্মদ সৈয়দ বলেন, নাফ নদের ওপারে গোলার শব্দ কম থাকলেও আগুনের কুন্ডলী দেখা গেছে।'
সূত্র জানায়, বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। এর জেরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যরা টহল জোরদার করেছেন। অনুপ্রবেশের শঙ্কার মধ্যে তারা
সতর্ক অবস্থায় আছেন।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, 'বিকাল থেকে ওপারে বিকট শব্দ শোনা গেছে। সুদারপাড়া গ্রাম পুড়তেও দেখা গেছে।'
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, 'সীমান্তে বাসিন্দারা শনিবারও ওপারে গোলার বিকট শব্দ শুনেছেন। পাশাপাশি তারা রাখাইনে আগুনের কুন্ডলী দেখতে পেয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন।'
টেকনাফ-২ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, 'শনিবার সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ কম ছিল। তবে কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে আছি।'