ভারত থেকে আনা
হলো বুলেটপ্রম্নফ
১১টি গাড়ি
ম বেনাপোল প্রতিনিধি
সামরিক শক্তি বাড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য ভারত থেকে ৪৬ কোটি টাকা মূল্যের মাইন প্রটেকটেড ১১টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে এসব গাড়ি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল ডিফেন্স পারসেজ এসব গাড়ি আমদানি করেছে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের টাটা অ্যানভানসড সিস্টেমস লিমিটেড।
চালানে গাড়িগুলোর আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৮ লাখ ৫ হাজার ৩৯ ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৬ কোটি টাকা।
জানা যায়, এ যানবাহন সেনাবাহিনীর সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য আনা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ বুলেটপ্রম্নফ। এই প্রথম বেনাপোল বন্দর হয়ে এ ধরনের সামরিক যান বাংলাদেশে আমদানি করা হলো।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সামরিক সরঞ্জামের তালিকার তথ্যমতে, দেশে এর আগে মোট ২০৫টি মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যামবুশ প্রটেকটেড গাড়ি ক্রয় করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরঞ্জামের তালিকায় দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৪৪ ও কানাডা থেকে ৪৪টি মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যামবুশ প্রটেকটেড গাড়ি কেনা হয়।
গেস্নাবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স-২০২৪ অনুযায়ী, সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭তম।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, আমদানি করা এসব গাড়ি বন্দরের হেফাজতে রাখা ছিল। কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুধবার বিকালে খালাস করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দ্রম্নত খালাসে বন্দরের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের
গার্ডারধস মামলায়
৮ আসামির সাজা
ম চট্টগ্রাম বু্যরো
চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃতু্যর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায়ে ৮ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এই রায় দেন। দন্ডিতরা হলেন- মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমস (জেভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই, মো. মোশারফ হোসেন রিয়াজ, ডিরেক্টর (অ্যাডমিন) প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, 'দুটি তদন্ত কমিটি ও ২২ জনের সাক্ষ্যে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৮ জন আসামিকে পৃথক ধারায় ৭ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একটি ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদন্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য একটি ধারায় প্রত্যেককে ২ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা আসামিদের জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।'
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস ইউ
নুরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা রায়ে সন্তুষ্ট নই। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।'
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃতু্যর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ২২ জন।