বগুড়ার একই পরিবারের নিখোঁজ ৭ জনকে রাঙামাটি থেকে উদ্ধার

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

বগুড়া প্রতিনিধি
গত ৩ জুলাই বগুড়া থেকে একই পরিবারের ৫ শিশুসহ নিখোঁজ সাতজনকে রাঙামাটির চেয়ারম্যানপাড়া থেকে উদ্ধার করেছে বগুড়া পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় পিবিআই বগুড়ার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) জাহিদ হাসান। পিবিআই জানায়, সোমবার দুপুরে রাঙামাটি শহরের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া সাতজনকে কেউ অপহরণ করেনি। তারা কাজের সন্ধানে স্বেচ্ছায় সেখানে যান এবং পূর্বপরিচিত একজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কাজের সন্ধান করছিলেন। উদ্ধার হওয়া সাতজন হলো ফাতেমা বেবি (৫০), তার ছেলে বিক্রম আলী (১৩), মেয়ে রুনা খাতুন (১৬), বড় মেয়ে রুমি বেগম (৩০), নাতনি বৃষ্টি খাতুন (১৩) এবং জমজ দুই নাতি হাসান (৬) ও হোসেন (৬)। উদ্ধার হওয়ার পর ফাতেমা বেবি জানান, তাদের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার খোচাবাড়ি এলাকায়। তারা সবাই বগুড়া শহরের নারুলীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ফাতেমা নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করতেন। তার বড় মেয়ের স্বামী জীবন মিয়া তাদের সঙ্গে বসবাস করে বগুড়া শহরে পুরনো ফ্রিজ কেনাবেচার কাজ করতেন। ফাতেমা আরও বলেন, 'তার স্বামী আব্দুর রহমান কখনো বগুড়া শহরে আবার কখনো লালমনিরহাটে বসবাস করেন। সে এবং মেয়ের স্বামী টাকার জন্য সবসময় তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতেন এবং মানসিক নির্যাতন করতেন। এ কারণে তারা নিজের আয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কাউকে না জানিয়ে গত ৩ জুলাই বগুড়া থেকে পালিয়ে তাদের পূর্ব পরিচিত ফাতেমা বেগম নামে এক নারীর নানির বাড়ি রাঙামাটিতে আশ্রয় নেন। সেখানে তারা কাজের সন্ধান করছিলেন।' এ সময় পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হাসান বলেন, গত ৩ জুলাই বগুড়া শহরের নারুলী এলাকা থেকে একই পরিবারের সাতজন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গত ৬ জুলাই বগুড়া সদর থানায় জিডি করেন ফাতেমা বেবির স্বামী আব্দুর রহমান। এর পর জিডির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় নিখোঁজদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে পিবিআই বগুড়ার একটি চৌকস দল রাঙামাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাদের উদ্ধার করে বগুড়ায় নিয়ে আসেন। তাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।