অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের প্রশ্ন
'ফাঁস' :আইনি ব্যবস্থার
হুঁশিয়ারি এনসিটিবির
ম যাযাদি ডেস্ক
বদলে যাওয়া নিয়মে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষাণ্মাসিক (অর্ধবার্ষিক) মূল্যায়নের প্রথম দিন বুধবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রতি জরুরি
বার্তা দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে মূল্যায়ন কার্যক্রমের নির্দেশনাগুলো কোনো অপ্রাসঙ্গিক কমিউনিটি বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নৈপুণ্য অ্যাপের ইউজার আইডির মাধ্যমে এই মূল্যায়ন নির্দেশনা ডাউনলোড ও বিতরণ কার্যক্রম ট্র্যাকিং করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে। এ জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনাগুলো বিতরণের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নতুন নিয়মে বুধবার থেকে সারাদেশেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শুরু হয়েছে ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন বা প্রচলিত অর্থে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীন সারাদেশের এক কোটির মতো শিক্ষার্থী এই মূল্যায়ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
এবার কেন্দ্রীয়ভাবে এনসিটিবির তৈরি করা শিক্ষার্থী নির্দেশিকা বা প্রশ্নের ভিত্তিতে হচ্ছে মূল্যায়নের কার্যক্রম। নতুন নিয়ম হওয়ায় এবার এনসিটিবি থেকে মূল্যায়নে শিক্ষার্থী নির্দেশিকা বা প্রশ্ন তৈরি করে তা পরীক্ষার আগের দিন প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে অনলাইনে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা প্রশ্নপত্র ডাউনলোডের পর ফটোকপি করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরবরাহের ব্যবস্থা করছেন।
রাজধানীতে ভবন থেকে পড়ে নারীসহ
২ জন নিহত
ম যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ভবন থেকে নিচে পড়ে জাকারিয়া (১৮) নামে এক যুবক ও খাইরুন্নেছা (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে
মিরপুরের পলস্নবীতে ও সাড়ে ১০টার দিকে আজিমপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত জাকারিয়ার সহকর্মী মো. জানান, পলস্নবী থানাধীন মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের মদিনাবাগ এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ৩ তলা ভবনে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন তারা। সকালে কাজ করার সময় বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে যায় জাকারিয়া। দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে খায়রুন্নেছাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী মিলন জানান, তারা আজিমপুর এতিমখানা সংলগ্ন সরকারি কোয়ার্টারের একটি ৪ তলা ভবনে সংস্কারের কাজ করছিলেন। সেখানে কাজ করার সময় চতুর্থ তলা থেকে নিচে পড়ে যান খাইরুন্নেছা।
নিহতের বোন জোসনা আক্তার জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায়। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচরের মাতবর বাজার এলাকায় থাকেন। খায়রুন্নেছার স্বামী আবুল হোসেন মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। সংসার চালাতে নিরুপায় খায়রুন্নেছা লেবারের কাজ করতেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া তাদের দুজনের মৃতু্যর বিষয় নিশ্চিত করেন। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।