শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির

দুই সহযোগীসহ আরসার 'কিলিং গ্রম্নপ কমান্ডার' গ্রেপ্তার, রাইফেল উদ্ধার

যাযাদি ডেস্ক
  ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
দুই সহযোগীসহ আরসার 'কিলিং গ্রম্নপ কমান্ডার' গ্রেপ্তার, রাইফেল উদ্ধার

কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) 'কিলিং গ্রম্নপ কমান্ডার' হাফেজ কামাল ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। এ সময় একটি জি-থ্রি রাইফেল ও দেশে তৈরি অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তারের কথা তুলে ধরেনর্ যাব-১৫ অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে আশ্রয়শিবির ও পাশের পালংখালীতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৪ বর্ধিত) ডি-৯ বস্নকের রোহিঙ্গা নজির আহমদের ছেলে ও আরসার জোন-১৭ কমান্ডার হাফেজ কামাল (৩৫), তার দেহরক্ষী ও একই আশ্রয়শিবিরের ডি-৩ বস্নকের রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে আনসার উলস্নাহ (২০) ও ক্যাম্প-১৮ আশ্রয়শিবিরের ৮ নম্বর বস্নকের রোহিঙ্গা বনি আমিনের ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল (২২)। তাদের কাছ থেকে একটি জি-থ্রি রাইফেল, একটি দেশি এলজি, সাতটি গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

র্

যাব অধিনায়ক বলেন, 'গ্রেপ্তার তিনজন আশ্রয়শিবিরে সংঘটিত একাধিক হত্যা, অপহরণের ঘটনায় জড়িত। পালংখালীর রোহিঙ্গা বাজারের কাছে মরা গাছতলায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে হাফেজ কামালের অন্যতম সহযোগী মোহাম্মদ সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাইফুল আরসার কিলিং গ্রম্নপ কমান্ডার হাফেজ কামালের দেহরক্ষী। সাইফুলের স্বীকারোক্তিতের্ যাব উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়ে কমান্ডার হাফেজ কামাল ও তার সহযোগী আনসার উলস্নাহকে গ্রেপ্তার করে।'

তিনি বলেন, র্'যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত আরসার সামরিক কমান্ডার হাফেজ নূর মোহাম্মদ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুস, গান কমান্ডার রহিমুলস্নাহ ওরফে মুছা, আরসাপ্রধান কমান্ডার আতাউলস্নাহ আবু আম্মার জুনুনির দেহরক্ষী অলি আকিজ, কিলার গ্রম্নপের প্রধান নূর কামাল ওরফে সমিউদ্দিনসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ১১৮ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।'

গ্রেপ্তার তিন আরসা সন্ত্রাসীকে বুধবার উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে মামলা হয়েছে জানিয়ের্ যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, 'গ্রেপ্তার হাফেজ কামাল ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে আসেন। এরপর উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে সপরিবার বসবাস শুরু করেন। ২০২২ সালে এপিবিএন মাদকসহ হাফেজ কামালকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। ৪ মাস কারাভোগ শেষে পুনরায় ক্যাম্পে প্রবেশ করে আরসার জোন-১৭ কমান্ডারের গান গ্রম্নপের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। তারপর তিনি বিভিন্ন হত্যাকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে তিনি আরসার কিলিং গ্রম্নপের প্রধান কমান্ডারের দায়িত্ব পান। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন নাশকতা, মারামারি, হত্যা, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি, অপহরণ, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অংশ নেন হাফেজ কামাল। তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় ৭টি হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ১১টি মামলা রয়েছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে