সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ছয় ব্রাহমা উদ্ধার

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালিয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ ছয়টি আমেরিকান ব্রাহমা জাতের গরু উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয়কেন্দ্রে এই অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। জাল-জালিয়াতি করে ২০২১ সালে ১৮টি গরু দেশে আনেন সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক আলোচিত শাহ ইমরান হোসাইন। কিন্তু অনুমতি না থাকায় বিমানবন্দরেই সেগুলো জব্দ করে কাস্টমস। সেখান থেকে দেওয়া হয়েছিল সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন কেন্দ্র ও দুগ্ধ খামারে। কিন্তু সাভারের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে গরুগুলো আবার নিজের কব্জায় নেন ইমরান। এরপর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য একেকটি গরুর দাম হাঁকা হয় কোটি টাকা। বুধবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রোর বিক্রয়কেন্দ্রে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। এ সময় ব্রাহমা জাতের ছয়টি গরু সেখান থেকে উদ্ধার করেন তারা। ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল বিক্রি করতে গিয়ে সম্প্রতি ফেঁসে গেছেন ইমরান হোসাইন। আর ওই ছাগল কিনে ফেঁসেছেন এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রী ও ছেলে। ছাগলের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। আমদানি নিষিদ্ধ অসংখ্য গরু সাদিকের হাতে কীভাবে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ১৫ লাখ টাকার বিদেশি ছাগলই বা ইমরান হাতে কেন, তাও দেখা হচ্ছে অভিযানে। জব্দ করার পরও আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোতে কীভাবে আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহমা গেল, সেই সন্ধানে মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমসে অভিযান চালায় দুদক। এর আগের দিন অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালায় দুদক। দরপত্র জালিয়াতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখে দুদকের সদস্যরা। এর আগে শুক্রবার সিটি করপোরেশন অভিযান চালায় সাদিক অ্যাগ্রোতে। সেখানকার অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করা হয়।