পুলিশি বাধায় পন্ড হয়ে গেছে গণতান্ত্রিক জোটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি। মঙ্গলবার দুপুরে দুর্নীতিবাজ, কালো টাকার মালিক, ঋণখেলপি, অর্থ পাচারকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে পল্টন মোড়ে পুলিশি বাধায় পড়তে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।
সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, সরকারি দলের নেতারা বলেন, সরকার নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। বেনজীর (বেনজীর আহমেদ) যখন পুলিশ প্রধান এবংর্ যাবে ছিলেন, তখন তিনি অবৈধভাবে সাতটি বেসামরিক পাসপোর্ট করেছেন। তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের নমুনা দেখা গেছে।
সরকারি দল ও বিভিন্ন সংস্থা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উলটো তাদের প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিচ্ছে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, দুদক যখন বেনজীরের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছিল, তখনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়ার আগে কিছু বলা যাবে না। এটি প্রত্যক্ষভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহ দেওয়ার শামিল।
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মামলা হলে, গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই ব্যাংকের সব টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। মতিউরও (এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান) নাকি মাথা টাক করে সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিজিবি কী করে?
এ নেতা বলেন, আজকের দুর্নীতিবাজরা গলা, মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আবার এ দুর্নীতিবাজদের পক্ষে বিবৃতি দেয়। দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ দুর্নীতি। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে, এ সরকারকে উৎখাত করতে হবে।
বজলুর রশীদ ফিরোজ জানান, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও বিচার, অর্থ পাচার রোধ, খেলাপি ঋণ উদ্ধারসহ নানা বিষয়ে জোটের ধারাবাহিক আন্দোলন চলবে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন রহমান, বিপস্নবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপস্নবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।