সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সবকিছুই বিনামূল্যে হবে উলেস্নখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিতে আরও সমন্বয়ের দরকার আছে। তবে সব সরকারি হাসপাতালের উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া। তাই সরকারি হাসপাতালে সবকিছুই বিনামূল্যে হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট আয়োজিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) সেবা উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা যদি একই লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন দিক থেকে কাজ করি তাহলে ফলাফল ভালো হবে না। আপনারা প্রান্তিক পর্যায়ে জনগোষ্ঠীকে সেবা দেন। এক্ষেত্রে আপনারা যদি জেলা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের সঙ্গে সমন্বয় করে কার কী লাগবে এটার ভিত্তিতে কাজ করেন, সেটা অধিকতর ফলপ্রসূ হবে।'
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'এসএসকের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সরকারি হাসপাতালে যেসব সুযোগ-সুবিধা নেই সেগুলো পূরণ করা। এক্ষেত্রে আগামী অর্থবছর থেকে আলোচনা করে আয়ুষ্মান ভারতের আদলে এ কর্মসূচিকে এগিয়ে নেওয়া হবে।'
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি উদ্বোধনসহ ৮ উপজেলায় এসএসকে সেবা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র পরিবার বিনামূল্যে ১১০টি রোগের চিকিৎসাসহ সামাজিক বীমার আওতায় আর্থিক সুবিধা পাবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।
এ ছাড়া শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের জরুরি বিভাগ, ইনডোর ও আউটডোর বিভাগ, এনসিডিসি কর্নারসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের ডাক্তার, রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাচাই করে দেখেন স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে রাসেলস ভাইপারের এন্টিভেনম ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হচ্ছে কি না। এছাড়া রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের জিন্দা কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রসবপূর্ব ও প্রসবপরবর্তী পরিচর্যা এবং নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।