বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ
রাজধানীতে ঝুম বৃষ্টি জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ
সমুদ্রবন্দরে সংকেত বলবৎ নদীবন্দরেও উঠল সংকেত
প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। শনিবার ভোর থেকেই ঢাকার আকাশ ছিল মেঘলা। এর আগে রাতে হালকা বৃষ্টি হলেও, এ দিন সকাল ১০টার পর নামে ঝুম বৃষ্টি। এতে অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সরকারি ছুটির দিন হলেও বিভিন্ন কাজে নগরে বের হওয়া কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা পড়েন ভোগান্তিতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের ১০টি অঞ্চলে রয়েছে ঝড়ের শঙ্কা। এসব এলাকার নদীবন্দরে তোলা হয়েছে এক নম্বর সংকেত। অন্যদিকে সমুদ্রবন্দরগুলোতে বলবৎ রাখা হয়েছে তিন নম্বর সংকেত।
শনিবার আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানিয়েছেন, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিলস্না, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে তিন দিনের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ রোববার সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রোববার সকাল থেকে কাল সোমবার সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে
পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মলিস্নক বলেন, 'মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর এবং মধ্যভাগে সারিসারি মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। ফলে দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি, কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।'
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়ার অন্য এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে জারি করা ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ রাখা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে ও সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।