উৎপাদন কমায় দক্ষিণে বেড়েছে লোডশেডিং

প্রকাশ | ২৯ জুন ২০২৪, ০০:০০

আব্দুস সালাম আরিফ, পটুয়াখালী
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তিন দিন ধরে পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদু্যৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফলে বিদু্যৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ায় দক্ষিণ অঞ্চলের লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত ২৪ জুন বিকাল থেকে প্রথম ইউনিটটি বন্ধ করা হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এই ইউনিটটি আবারও চালু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদু্যৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা। সূত্র মতে, পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদু্যৎ কেন্দ্র ২০২০ সাল থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে বিদু্যৎ সরবরাহ শুরু হয়। এই বিদু্যৎ কেন্দ্রে মোট দুটিই ইউনিট থেকে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট বিদু্যৎ জাতীয় গ্রিডে বিদু্যৎ সরবরাহ করে আসছে। তবে গত ২৪ জুন বিকালে পস্নান্টের ১ম ইউনিটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তা বন্ধ করা হয়। ফলে বর্তমানে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদু্যৎ সরবরাহ করছে। পায়রা ১৩২০ মেগা ওয়াট তাপবিদু্যৎ কেন্দ্রের পস্নান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলা বলেন, 'নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি সম্পন্ন করে দ্রম্নত সময়ের মধ্যেই বন্ধ ইউনিটটিও চালু করা হবে। আশা করছি আগামী ২ জুলাই পুরোদমে বন্ধ ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হবে।' এদিকে বিদু্যৎ উৎপাদনের এই ছন্দ পতনের ফলে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ অঞ্চলের লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলো। কুয়াকাটা টু্যর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, 'এখন বিদু্যতের ভোগান্তি সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে এবং দীর্ঘ সময় পর বিদু্যৎ আসছে। এই দীর্ঘ সময় তো জেনারেটর দিয়ে বিদু্যৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এতে পর্যটকরা বিরক্ত হচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।' এর আগে কয়লা সংকটে ২০২৩ সালের ৫ জুন দেশের বৃহৎ এই বিদু্যৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ঠিক ২০ দিন পর আবারও উৎপাদন শুরু হয়। বিদু্যৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি সচল রাখতে প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লার প্রয়োজন হয়। যা পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।