প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হলে বেসরকারি হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা ব্যয় আরও বাড়বে। ফলে সাধারণ মানুষের সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এছাড়া শুল্কজনিত অতিরিক্ত ব্যয়ের চাপ সামলানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী বুধবার গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদিকে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, অন্যদিকে অতিরিক্ত ব্যয়ের চাপ সামাল দেওয়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটি বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে যাচ্ছে। তার মতে, প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে বেড়েছে চিকিৎসা যন্ত্র আমদানিতে শুল্কের চাপ। এতে চিকিৎসা খরচ কয়েকগুণ বাড়বে।
প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিশেষ শুল্কছাড়ে চিকিৎসা যন্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির সুযোগ পেত বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো। তবে এবার এসব হাসপাতালে ব্যবহৃত চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানির শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহৃত স্পাইনাল নিডলের নতুন এইচএস কোড তৈরি করে এতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন বাজেটে। এতে এ পণ্যের দাম বাড়বে। সরকারের এই পদক্ষেপ গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য চিকিৎসাসেবা ব্যয়কে আরও বাড়িয়ে দেবে। এমনকি বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো সম্প্রসারণে বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানির শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।
স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তা প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় রোগ নির্ণয় ও ওষুধে। দেশে সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নানা সংকট থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীদের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ওপর নির্ভর করতে হয়। বর্তমানে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেন। সুতরাং এটি সহজেই অনুমেয়, চিকিৎসা ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্য বাড়বে।