পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের তদন্ত চলছে :আইজিপি
প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০০
খুলনা অফিস
পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুলস্নাহ আল মামুন বলেছেন, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করার কোনো সুযোগ নেই। যাদের অবৈধ সম্পদ থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের দ্বন্দ্বের বিষয়ে আইজিপি বলেন, 'পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্য দিয়ে নিরসন হবে।
পরীমনি-সাকলাইন কান্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, 'যে কোনো অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল তা প্রমাণ হওয়ায় সাকলাইনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।'
আইজিপি বলেন, 'বাংলাদেশ পুলিশ প্রায় ১০০ বছরের ওপর দায়িত্ব পালন করে আসছে। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে আসছি। এক সময় খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। সেই নীতির আলোকে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে ভিন্নমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। পুলিশের ইউনিট প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিটিয়ে থাকে। পুলিশের থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো তালা লাগানো থাকে না। সব সময় থানার দরজা খোলা থাকে, মানুষ সেখানে আসে। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি। বিল্ডিং এবং জনবল বাড়বে এটা আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নয়, জনসেবার মধ্য দিয়েই ঋণ পরিশোধ করতে চাই।'
পুলিশের আইজি বলেন, 'সুন্দরবন কখনো শান্ত ছিল না, দসু্যদের অভয়ারণ্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদসু্যমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করেছেন। এক সময় খুলনার জনপদ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় আমরা সেই সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। খুলনা এখন শান্তির নগরী।'
আব্দুলস্নাহ আল মামুন বলেন, 'বাংলাদেশ পুলিশ এদেশের মানুষের সেবা দিয়ে গর্বিত হতে চায়। এবার আমরা স্স্নোগান দিয়েছি "দেশ সেবাই আমাদের আনন্দ, সেবাই আমাদের উৎসব"। সেই সেবাকে ব্রত নিয়ে আমরা কাজ করছি।'
এর আগে তিনি ৪ তলা অস্ত্রাগার ভবন, ৬ তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদু্যতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ ছাড়া বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন।
পরে তিনি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় কেএমপির পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হকসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন।