দেশে মোট নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭০। এর মধ্যে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭০ নিষ্ক্রিয় রয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ময়মনসিংহ-৬ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক সরকারের প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী দেওয়া তথ্য মতে, দেশে নিবন্ধিত মুঠোফোন সিমের মধ্যে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭০ নিষ্ক্রিয়, যা মোট নিবন্ধিত সিমের প্রায় ৪২ শতাংশ। সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নিবন্ধিত সিমের ৫৫ শতাংশই নিষ্ক্রিয়।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের মোট নিবন্ধিত সিম ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৫টি। এর মধ্যে সক্রিয় আট কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার। বাংলালিংকের মোট নিবন্ধিত সিম ৯ কোটি সাত লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি। এর মধ্যে সক্রিয় চার কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজারটি। রবি আজিয়াটার মোট নিবন্ধিত সিম ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার ৮০০টি।
সক্রিয় পাঁচ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার। টেলিকটের নিবন্ধিত সিম এক কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ২৮৩টি। সক্রিয় ৬৫ লাখ ৫০ হাজার।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে লাইসেন্সধারী ইন্টারনেট সরবরাহকারীর সংখ্যা দুই হাজার ৬৫০।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের এক প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহ্?মেদ জানান, ২০১৯ সালে বিটিসিএলের গ্রাহক ছিল পাঁচ লাখ ১৯ হাজার ৯২২ জন। ২০২৪ সালের ১২ জুন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭৩ হাজার ৯৫০ জন। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে বিটিসিএলের গ্রাহকসংখ্যা কমেছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৭২।