পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বিরল প্রজাতির একটি ইয়েলো-বেলিড সি স্নেকের দেখা মিলেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সৈকতের পূর্ব পাশে টু্যর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মো. মাসুম বিলস্নাহ সাপটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী সংগঠনের সদস্যদের খবর দেন।
মো. মাসুম বিলস্নাহ বলেন, এই সাপের পেটের রং হলুদ দেহের উপরিভাগ কালো। কালো দেহে অদ্ভুত হলুদের ছোঁয়া থাকায় এ সাপ দেখতে খুবই সুন্দর। সাপটি উদ্ধার করে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি যাতে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা পর্যটকরা সৈকতে বিচরণকালে কোনো বিপদের সম্মুখীন না হয়। পরে বন বিভাগ ও আমাদের সংগঠনের সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে অবমুক্ত কিংবা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী সংগঠনের সদস্য কেএম বাচ্চু বলেন, দুপুরে টু্যর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সাপটিকে উদ্ধার করতে ছুটে যাই সৈকতের পূর্ব পাশে ঝাউবনের পাশে। ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক প্রজাতির সাপটি জীবিত থাকা অবস্থায় সৈকত থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সাপটি রঙিন ইউলো কালার, শখের বশে পর্যটকরা যেন বিষাক্ত এই সাপ স্পর্শ না করেন বা ছবি তুলতে কাছে না আসেন। এর দেখা মিললে যেন বন বিভাগ লোকজনকে সংবাদ দেন।
টু্যর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এই সাপগুলো বসবাস বা বেড়ে ওঠা সমুদ্রে। গত দুবছর ধরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এই সাপের দেখা মিলছে। তবে কুয়াকাটায় তেমন একটা দেখা যায় না এ সাপ।
ওয়ার্ল্ড ফিশের জীববৈচিত্র্য গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, গোটা বিশ্বের স্থল ও সমুদ্র ভাগের সব সাপের মধ্যে এটা চতুর্থতম। এটা তীব্র বিষধর। এ সাপ সচরাচর দেখা যায় না। গত বছরের জুন মাসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও কুয়াকাটা সৈকতে এই সাপ দেখা গেছে।
বাংলাদেশ বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই প্রজাতির সাপ বাংলাদেশে সচরাচর দেখা যায় না। এর নাম 'ইয়েলো-বেলাইড সি'। এরা হাইড্রোফিদা পরিবারভুক্ত। ভয়ংকর বিষধর এই সাপের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশে নেই।
\হ