ঢাকায় ফিরছেন মানুষ যাচ্ছেনও অনেকে

প্রকাশ | ২১ জুন ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষেরা। কেউ পরিবার নিয়ে, আবার কেউ পরিবারকে রেখে একাই এসেছেন। আবার আগে যারা ব্যবসাবাণিজ্য বা পেশাগত কারণে ঈদের ছুটিতে গ্রামে যেতে পারেননি, তাদের অনেককে রাজধানী ছাড়তে দেখা গেছে। এ সংখ্যাটা অবশ্য খুব কমও নয়। বৃহস্পতিবার ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নগরীতে ফিরে আসা কর্মজীবী মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার ঈদের ছুটি শেষে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। তাই তারা কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরেছেন। কিন্তু মাঝে আবার সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার রয়েছে। এছাড়া বাচ্চাদের স্কুল-কলেজ এখনো বন্ধ। তাই অনেকে পরিবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় ফিরেছেন। তাছাড়া যাদের বাড়ি ঢাকার আশপাশে তারা বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করে সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে আবার বাড়ি যাবেন। সেই কারণেও পরিবার রেখে এসেছেন কেউ কেউ। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, গত মঙ্গলবার থেকেই ফিরতি ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। ট্রেনে করে যেসব মানুষ ঢাকা ছেড়েছিলেন ঈদের আগে, তাদের অধিকাংশই এখন ফিরতে শুরু করেছেন। ঢাকায় ফেরা সবগুলো ট্রেন যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল। ট্রেনের ফিরতি টিকিটও অনলাইনে বিক্রি হওয়ায় এবং শিডিউল বিপর্যয় না হওয়ায় বড় ধরনের কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি যাত্রীদের। এদিকে, সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকায় ফেরা ট্রেনের যাত্রীরা পস্ন্যাটফর্মে নেমে টিকিট দেখিয়ে স্টেশন ত্যাগ করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্টেশনের গেটে দায়িত্ব পালন করেন নিরাপত্তাকর্মী ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দিনাজপুর থেকে আসা যাত্রী রবিউল ইসলাম বলেন, 'পরিবারকে গ্রামে রেখে এসেছি। বাচ্চাদের স্কুল এখনো বন্ধ। তারা আরও এক সপ্তাহ বাড়িতে থাকবে। আগামী সপ্তাহে বাড়ি গিয়ে নিয়ে আসব। আমার অফিস বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। কাজের চাপ না থাকায় অফিসের বসকে ফোন করে একদিনের বাড়তি ছুটি নিয়েছি।' লাকসাম থেকে ঢাকায় ফেরা জহিরুল ইসলাম বলেন, 'একটি বেসরকারি এনজিওতে চাকরি করি। বুধবার পর্যন্ত ছুটি নিয়েছি। এখান থেকে এখন সরাসরি অফিসে চলে যাব। এবার ঈদ ভালো কেটেছে। বৃষ্টির কারণে তেমন গরমও ছিল না।' এদিকে, ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে যাচ্ছেন একটি মসজিদের ইমাম আল আমিন। তিনি বলেন, 'ঈদে ঢাকায় ছিলাম। আজ বৃহস্পতিবার পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। ২-৩ দিন থেকে আবার ফিরব।' সিলেটগামী যাত্রী গাড়িচালক স্বপন শিকদার বলেন, 'ঈদের সময় ছুটি ছিল না। আবার তখন ট্রেনের টিকিট কাটার বাড়তি ঝামেলা ছিল। তাই এখন পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।' কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, তেমন কোনো শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। সবকিছু ভালো চলছে। গত মঙ্গল ও বুধবার থেকে মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। তবে বৃহস্পতিবার মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষরা ঢাকায় ফিরেছেন। শুক্র ও শনিবার ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।