বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের ভুল নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে বন্যা উপদ্রম্নত জনগণকে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সিলেটের হাওড় উন্নয়নের নামে চলছে অপরিকল্পিত কার্যক্রম।
নদীতে বাঁধ দিয়ে স্বাভাবিক গতি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করার কারণেই বন্যার প্রকোপ বেড়েছে। একই অঞ্চলে প্রতি বছর বন্যা হওয়ার পরও 'আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম' গড়ে তুলতে সক্ষম হয়নি সরকার। বৃহস্পতিবার পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দেওয়া যে সরকারের কর্মসূচি, সে সরকারের দ্বারা একটি জাতির সর্বাঙ্গীন উন্নতি লাভ কখনোই সম্ভব নয়। আজ ডামি সরকারের লুটেরা নীতিই ভুক্তভোগী জনগণের মর্মভেদী অশ্রম্নপাতের কারণ।
তিনি বলেন, প্রতি বছর বার বার বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রচন্ড তান্ডবে সরকারের উদাসীনতা বিস্ময়কর। দেশের ভেতরের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে দিশেহারা মানুষ কোথাও নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে না। ঘরের ভেতর উঁচু মাচা করার পরও টিকতে পারছে না। এদিকে উত্তরপূর্বাঞ্চলের রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অবস্থাও মারাত্মক সঙ্গীন। উজানের ঢল প্রবল গতিতে নেমে আসায় সিলেট ও রংপুর বিভাগের নদীগুলো উপচে দুই পাশে প্রবল বন্যা হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
রিজভী আরও বলেন, বৃহত্তর সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে পানিবন্দি মানুষের কাছে কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। অসহায় বিপন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ বন্যা উপদ্রম্নত মানুষ। আমি ওই অঞ্চলে বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীকে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
ঈদের দিন মানুষ হত্যার উন্মাদনার মধ্য দিয়েই আওয়ামী ক্যাডাররা উৎসব পালন করেছেন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, তারা মনে করে আইন যেন তাদের হাতের মুঠোয়। ঈদের দিন রাতে বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার প্রবাসী মেয়ের গাড়ির সঙ্গে একটি বাইকের ধাক্কা লাগায় দু'জন বাইক আরোহীকে বাসা থেকে ঢেকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার লোকজন কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।