সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে শনিবার শরীয়তপুরে শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠিত হয়। সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে নবগঠিত এই ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন।
পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীপ্রধান নতুন ইউনিটের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বীর শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
\হসেনাপ্রধান বলেন, ''১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় প্রণীত হয় 'ফোর্সেস গোল-২০৩০'। আজকের এই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এর আরেক ধাপ বাস্তবায়িত হলো।''
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সেনাসদরের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাসহ জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া, সেনাসদর ও সাভার এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনীর অন্য পদবির কর্মকর্তারা, জেসিও, অন্য পদবির সেনা সদস্যরা, অসামরিক কর্মচারী এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সেনাপ্রধান শেখ হাসিনা সেনানিবাসে পৌঁছালে জিওসি ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বরিশাল এরিয়া তাকে স্বাগত জানান। সেনাবাহিনীপ্রধান বরিশাল এরিয়ার সব পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বিদায়ি দরবার গ্রহণ এবং মতবিনিময় করেন। দরবার শেষে শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সব পদবির কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যরা সামরিক রীতিতে সেনাবাহিনীর প্রধানকে বিদায়ি সংবর্ধনা জানান।
শেখ রাসেল সেনানিবাসে ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন শেষে সেনাবাহিনীপ্রধান মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে যান। তিনি নড়াইলের লোহাগড়ায় ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি শাখা উদ্বোধন করেন। পরে তিনি মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ ও একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
এসময় ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য ছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আইএসপিআর
