বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় রোয়াংছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইসুমা সুলতানা। এর আগে বৃহস্পতিবার বান্দরবান উপজেলা সদর থেকে
তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইসহাক বম (৩৮), মুনকিম লিয়ান বম (৪৩), রোয়াল লিয়ান সাং বম (৩০), রাম চনহ সাং বম (২৫), রোয়ালে খুম লিয়ান বম (৪০), কাপ ময় থাং বম (৩৪)। গ্রেপ্তারকৃত সবাই রোয়াংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।
বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোয়াংছড়ি থানার দায়ের করা ১ নম্বর মামলায় ছয় আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের রুমায় শাখায় হামলা, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুট এবং পরে ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রুমা থানায় ১৩টি, থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটিসহ মোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় আসামিদের ধরতে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। অভিযানের্ যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসারের সঙ্গে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী। চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত কেএনএফের সর্বমোট ১০৫ জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
ঘুমধুমে ইয়াবাসহ ২ রোহিঙ্গা আটক
এদিকে, নাইক্ষ?্যংছড়ি থানার অধীন ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে দুই হাজার ইয়াবাসহ উখিয়া টিভি টাওয়ার সংলগ্ন ঘুমধুম ইয়াহিয়া গার্ডেনের প্রবেশ মুখ থেকে পুলিশ দুই রোহিঙ্গাকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন উখিয়া ক্যাম্প বস্নক বি-৫২ ক্যাম্পের মোস্তাক আহমদের ছেলে জাহেদ হোসেন (৪৫) ও একই ক্যাম্পের ইয়াসিনের ছেলে সিরাজ উদ্দিন ২০।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ?্যংছড়ি থানার ওসি মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশের এই ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।