পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এসেছে একটি মৃত ডলফিন। ডলফিনটি বোটলনোজ প্রজাতির। এটি ১০ ফুট লম্বা। ডলফিনটির পুরো শরীরের চামড়া উঠে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জোয়ারে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটি ও বন বিভাগের সদস্যদের খবর দেন।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু বলেন, 'জোয়ারের পানিতে মৃত ডলফিনটি ভেসে আসার পর স্থানীয়
লোকজন এটিকে দেখতে পান। পরে আমাদের খবর জানালে আমরা কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মৃত ডলফিনটি মূলত বোটলনোজ প্রজাতির। এর আগে কুয়াকাটায় সচারাচর এই প্রজাতির ডলফিন তেমন একটা দেখা যায়নি। তবে এটি কি কারণে মারা গেছে তা এখনো সুস্পষ্ট নয়।'
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ অ্যাকটিভিটির পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, 'সমুদ্রের পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় সামুদ্রিক প্রাণীগুলো এভাবে মারা যাচ্ছে। আজকে ভেসে আসা ডলফিনটি বিশ্বজুড়ে বিপন্ন হয়ে পড়া বোটলনোজ প্রজাতির। সমুদ্র প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ডলফিনগুলোর মৃতু্য হচ্ছে। তবে মৃতু্যর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। তিনি সমুদ্রের এসব প্রাণী রক্ষায় জেলেসহ সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।'
এ বিষয় বন বিভাগ মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'মৃত একটি ডলফিন সৈকতে ভেসে আসার খবর পেয়ে আমাদের লোক পাঠানো হয়েছে। জোয়ারের পানির চাপ কমলেই এটিকে মাটিচাপা দেওয়া হবে।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ডলফিনটি স্থানীয় বনবিভাগের সহায়তায় মাটি চাঁপা দেয়া হয়েছে।
খাল থেকে ডলফিন উদ্ধার
এদিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জের জামালপুরের একটি খাল থেকে বোটলনোজ প্রজাতির একটি ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রামবাসী ডলফিনটিকে ভাসতে দেখে। পরে খবর পেয়ে পটুয়াখালী অ্যানিমেল লাভারস সংগঠনের সদস্যরা ডলফিনটিকে জীবিত উদ্ধার করে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে আন্ধারমানিক নদীতে ফারুক হোসেনের জালে আটকা পড়েছে জীবিত ডলফিনটি। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আন্ধারমানিক নদীর সাগর মোহনায় ডলফিনটি অবমুক্ত করা হয়। এ ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৬ ফুট এবং প্রস্ত দেড় ফুট।