প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিনিয়োগকারীদের দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুলস্নাহ আলি আবদুলস্নাহ খাসেফ আলহামউদির গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ চাকরি নিশ্চিত হয়ে বাংলাদেশি জনশক্তিকে ভিসা দেবে। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে তারা বাংলাদেশ থেকে জনবল নেবেন যাদের জন্য চাকরি অপেক্ষা করছে। প্রধানমন্ত্রী ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে কোনো অবৈধ অভিবাসীকে অনুমতি না দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের কিছু মন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার নতুন উপায় খুঁজবেন। আমাদের ইতোমধ্যেই বেশ বিস্তৃত ও গভীর বন্ধন রয়েছে। তবে আমরা এটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী।
আলহামউদি উলেস্নখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২০ হাজার মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস প্রতিদিন প্রায় ১০০০ ভিসা দিচ্ছে, সরাসরি ৫০০ এবং ৫০০ এজেন্টদের মাধ্যমে জানান প্রেস সচিব।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ইউএই'র প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেহেতু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন সে বিষয়ে আলহামউদি বলেন, যারা আগামী দিনে বাংলাদেশ সফর করতে আসা ইউএই'র মন্ত্রীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
ইউএই রাষ্ট্রদূত কনটেইনার টার্মিনালসহ বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, 'সরকার সব সেক্টরে সবকিছুর গতি বাড়াচ্ছে।'
ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, 'তার দেশের একটি কোম্পানি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচলে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) সরবরাহ করতে চায়। প্রক্রিয়াটি মূল্য আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, 'এ বিষয়টি এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। নিরাপত্তার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে এখন ভ্রমণের আগে এয়ারলাইন্স থেকে যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্যের প্রয়োজন হয়। এটি অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) নামে পরিচিত।'