আসন্ন ঈদুল আজহার নামাজের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রাজধানীর জাতীয় ঈদগা। এখানে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষ জামাতে অংশ নিতে পারবেন। ঈদগার মূল প্রবেশপথ থাকবে চারটি। জামাত শেষে বের হওয়ার জন্য উত্তরের দিকে আরও তিনটি গেট খোলা থাকবে। এ ছাড়া নারীদের জন্য থাকবে পৃথক প্রবেশপথ।
বুধবার সকালে জাতীয় ঈদগা পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নূর তাপস ঈদ জামাতের সময়সূচি ও প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস বলেন, 'আমি যতটুকু জেনেছি ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তারা জানিয়েছে। তবে প্রধান জামাতের সময় নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে ঈদের আগের দিন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সেই সময় যথাসময় জানিয়ে দেবে। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ এই জামাতে অংশ নেবেন।'
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ জামাতে নামাজ পড়বেন ১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন সকালে। সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে।
জামাতের জন্য পুরো ঈদগাজুড়ে প্যান্ডেল টাঙানো হয়েছে। এখন সিলিংফ্যান, লাইট ও মাইক লাগানো এবং মাঠের পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসব কাজ চলছে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, 'আমাদের প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে চলছে। ১৭ তারিখ যেহেতু ঈদ হবে। ১৬ তারিখের মধ্যেই আমাদের সব কাজ শেষ হবে ইনশালস্নাহ।'
এ সময় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, 'গত বছর ভারী ও মুষলধারার বৃষ্টিপাতের মধ্যে আমাদের এখানে জামাত হয়েছে। কিন্তু ঢাকাবাসীকে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পেরেছি, কোনো রকমের অসুবিধা হয়নি। গত বছরের অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে আমরা আশা করছি, এবারও এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে মুসলিস্নদের কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়। কোনো জলাবদ্ধতা ও পানির বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না, ভালোভাবে যেন তারা বাসায় ফিরতে পারেন।'
সবাইকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে তাপস বলেন, 'আমরা আশা করছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি গতবারের মতো এবারও ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন। ঢাকাবাসীকে আমি ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি- ঈদ মোবারক, ঢাকাবাসীকে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।'
তিনি জানান, রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে অংশ নিয়ে থাকেন। সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে আলাদাভাবে। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পুলিশ,র্ যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছাড়াও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স- এসএসএফ এবং ভিভিআইপির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।