কুয়াকাটায় হোটেল থেকে সাবেক বন কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার
ম কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মৎস্যবন্দর আলীপুরের ভাই ভাই আবাসিক হোটেল থেকে মো. শফিকুর রহমান (৭০) নামের সাবেক বন কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা ১১টায় হোটেলের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে মহিপুর থানা পুলিশ।
মৃত শফিকুর রহমান চাঁদপুরের চান্দরা পাটোয়ারী বাড়ি এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ বন বিভাগের সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা ছিলেন।
পুলিশ ও হোটেল সূত্রে জানা যায়, শফিকুর রহমান গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ভাই ভাই নামে ওই আবাসিক হোটেলের ১১ নং রুমে ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন, এরপর বুধবার সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ নাস্তা খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে খবর দেয়। পরে হোটেলের জানালার ফাঁক দিয়ে তার মরদেহ খাটের পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, 'আমরা এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করি। টুয়াখালী থেকে ক্রাইমসিনের সদস্যরা আসছেন। তাদের কাজ শেষ হলে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। এরপর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
রাজধানীতে রান্নাঘরে
বিস্ফোরণে দগ্ধ
শিশুর মৃতু্য
ম যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর ভাটারা থানার একটি আবাসিক এলাকায় বাসার রান্নাঘরে বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় আয়ান নামে তিন বছরের এক শিশুর মৃতু্য হয়েছে। বুধবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃতু্য হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা বার্নের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, ভাটারা থেকে নারী-শিশুসহ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আজ ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু আয়ানের মৃতু্য হয়। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
বর্তমানে নিহত শিশুটির মা রকসি আক্তার (২০), তার বোন ফুতু (১৮) ও বাবা আব্দুল মান্নান (৬০) চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধদের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী থানার মাইজপাড়া গ্রামে। তারা ভাটারা থানার একটি আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকেন।
ডা. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রকসি আক্তারের শরীরের ৫৫ শতাংশ, ফুতু আক্তারের শরীরের ৫৫ ও আব্দুল মান্নানের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রকসির দেবর আহমেদ মোস্তফা বলেন, আমার ভাবির ব্রেন টিউমার হয়েছিল। এজন্য চলতি মাসের ১ তারিখে সপরিবারে তারা গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। পরে তারা একটি বাসা ভাড়া করেন। সেখান থেকে নিয়মিত এভারকেয়ার হাসপাতালে যাতায়াত করতেন। অস্ত্রোপচার করানোর পর ওই বাসায় রাখা হয়েছিল ভাবিকে। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বাসার রান্নাঘরে বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রুমে থাকা শিশুসহ চারজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।