আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইলেকট্রিক গাড়ি, লিথিয়াম ব্যাটারি ও চার্জিং স্টেশনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি উলেস্নখ করে এ খাতের উন্নয়নে বাজেটে শুল্ক ছাড়, নিবন্ধনের ফি কমানো ও প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএএএমএ) এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মোবিলিটি অ্যাসোসিয়েশনের (বিইএমএ) উদ্যোগে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়।
বিএএএমএর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানার গ্রম্নপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, আকিজ মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আমিন উদ্দীন, ইফাদ অটোর নির্বাহী পরিচালক বকশী আবির এবং গ্রিন টাইগারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা তিন্নি।
আবদুল মাতলুব আহমেদ বলেন, '২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। বর্তমান অর্থনীতি পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এবারের বাজেট প্রতিপাদ্য বিষয় টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা। স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে অন্যতম উপাদান হলো স্মার্ট পরিবহণ ব্যবস্থা। স্মার্ট পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইলেকট্রিক গাড়ির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসন্ন বাজেটে ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক মওকুফসহ সর্বনিম্ন শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।'
তিনি আরও বলেন, 'মাল্টি এক্সেল যানবাহনের প্রচলন এবং স্বীকৃত কারখানার মধ্যে দেশে বাস, ট্রাক, মিনিবাস, পিকআপ প্রস্তুত করে সড়ক দুর্ঘটনা এবং সড়ক-সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হ্রাস করা সম্ভব। চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রায় সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ ছিল। অথচ মাল্টি এক্সেল যানবাহনের জন্য কয়েকশ কোটি টাকা ছাড় দিয়ে হাজার কোটি টাকা রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমে যাবে।'
রানার গ্রম্নপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, 'বাজেটে ইলেকট্রিক গাড়ির ওপর দিকনির্দেশনা ও প্রণোদনা থাকবে বলে আশা করেছিলাম। তাই ইলেকট্রিক গাড়িতে বিনিয়োগের শর্তে অন্তত আগামী দুই বছরের জন্য শুল্ক রেয়াত, রেজিস্ট্রেশন খরচ কমানো ও নগদ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যেটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করা হয়েছে।'
আকিজ মটরসের সিইও শেখ আমিন উদ্দিন বলেন, 'ঢাকা এখন বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর একটি। তাই জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানি ও উৎপাদনে প্রণোদনা দেওয়া উচিত। তাহলে উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব এসব গাড়ি আমদানি ও পর্যায়ক্রমে উৎপাদন করার জন্য এগিয়ে আসবে।'