খুব শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার এক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন তিনি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে বাংলাদেশের বিপস্নবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে 'বাংলাদেশের গণতন্ত্র সংকট-উত্তরণের পথ' শীর্ষক এই মতবিনিময় সভা হয়।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের ঐক্য 'একাট্টা' উলেস্নখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা সব রাজনৈতিকগুলোর আলোচনার ভিত্তিতে কাজ করছেন। তাদের ঘোষিত ৩১ দফাতে এ দেশের প্রত্যেক মানুষের কথা বলা আছে। রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তনের কথা বলা আছে, অর্থনীতি কাঠামো পরিবর্তনের কথা বলা আছে, সবগুলো দিক সেখানে বলা আছে। এই ৩১ দফা এখন জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। জনগণ এই সরকারকে চায় না। জনগণের না চাওয়ার যে ইচ্ছা সেটাকে কী করে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করে সরকারকে পরাজিত করতে পারি এখন সেই কাজটি করতে হবে।
শরিকদের প্রতি অনুরোধ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলন দৃঢ় করার জন্য সবাই কাজ করছেন। সবার কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে, আপনারা এমন কোনো কথা বলবেন না, যাতে এই ঐক্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়, ঐক্য বিনষ্ট হয়। এখন প্রধান শত্রম্ন হচ্ছে সরকার। যারা সব কিছুকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। সেই কাজ শুরু হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম, লড়াই হয়েছে। এই আন্দোলনে ইতোমধ্যে অনেক অর্জন হয়েছে। সবচেয়ে বড় অর্জন হয়েছে- বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে কেউ বাম চিন্তার, কেউ ডান চিন্তার আবার কেউ অতি বাম চিন্তার আছে। এই সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে একমত হয়েছে। সেই আন্দোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে। সেটা এখনো চলছে। খুব শিগগিরই সেই আন্দোলন নিঃসন্দেহে আরও বেগবান হবে।
তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসার প্রত্যাশা রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত আছে। তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে। তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ দেশে যে আন্দোলনটা করছি সেটা কোনো দলের নয়, এটা দেশের জন্য, এ দেশটাকে রক্ষা করার জন্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। এই জেগে ওঠাকে কাজে লাগিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করা সম্ভব না হলেও এবার বিজয় আসবে। নতুন সূর্যোদয় হবেই, সেখানে অবশ্যই পৌঁছাতে হবে।
বাংলাদেশের বিপস্নবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।