বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান।
মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ফাইনাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ফেয়ার অব আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রজেক্টের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মৎস্য মন্ত্রী বলেন, 'আর্টিমিয়া মৎস্য খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা মাছের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারি। এছাড়া আর্টিমিয়া উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ড ফিশের উদ্যোগে আমাদের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ চাষের পাশাপাশি আর্টিমিয়া চাষ করা হচ্ছে। ফলে মাছ বিশেষত চিংড়ি জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাছের এ ধরনের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা জরুরি। তিনি আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পসহ এ ধরনের উৎপাদনশীল প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ল্ড ফিশকে ধন্যবাদ দেন।
তিনি বলেন, '২০৪১ সালে বাংলাদেশকে আমরা যেখানে দেখতে চাই, সেখানে দেখতে হলে আমাদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে সমৃদ্ধ করতে হবে। শুধু এই দুই খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, এই খাত থেকে আমরা যাতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি সে ব্যাপারেও আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।'
তিনি ওয়ার্ল্ড ফিশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে আগামী দিনেও নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গেস্ট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী ও বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক প্যাট্রিক সরগেলুস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি