খাদ্য নিয়ে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন করা যাবে জানিয়ে খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেছেন, বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর বিএসএমএমইউর হলে 'ইনসিউরিং ফুড সেফটি অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ : স্মার্টেস্ট স্ট্যাসেজিকস ফর আনএক্সপিক্টেড চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া, বিএসএমএমইউ'র উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন প্রমুখ।
ইসমাইল হোসেন বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ খাদ্য নিরাপত্তা। বর্তমানে যুক্ত হয়েছে নিরাপদতা। খাবার ব্যক্তিকে চালিত করে ও বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করতে সহায়তা করে। আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাঝে মধ্যে ১ থেকে ২ শতাংশ আমদানি করতে হয়। অর্থাৎ মূল খাদ্য ধান উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ গম বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৯৪৭ সালে গড় বয়স ছিল ৪৭ বছর। ৮০ দশকের চেয়েও আমরা ভালো আছি।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, 'নিরাপদ খাদ্য ও বিএফএসএ মেলবন্ধন বৃদ্ধি করবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারলে অনেক রোগ কমে যাবে।'
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, 'শুধু খাদ্য নিরাপদ করলেই হবে না বরং আমাদের বাথরুম ব্যবহারেও সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সব মহলের সহযোগিতা দরকার।'
সাবেক সদস্য রেজাউল করিম বলেন, 'খাদ্য নিয়ে বাংলাদেশের একেক আইনে একেক ধরনের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। খাদ্য শুধু নিরাপদ হলেই চলবে না সেখানে প্রাপ্ততাও নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবহণ, গুদামজাত এবং বাজারজাত পর্যন্ত নিরাপদ হতে হবে।' সংবাদ বিজ্ঞপ্তি