ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় তলস্নাশি চালিয়ে, সঞ্জীবা আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে পাওয়া পচা মাংসের টুকরা মানুষের। প্রাথমিকভাবে ফরেনসিক পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে নিউটাউনের বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়। উদ্ধার হওয়া মাংস এবং হাড় এমপি আনারের কি না তা জানতে
ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। আর সে কারণেই শিগগিরই এমপি আনারের পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রোববার খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে বড় ও মাঝারি সাইজের সাতটি এবং বুক ও পাঁজর-সহ ১২টি হাড়।
এদিকে, গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম হোসেন জানিয়েছে, তিনি পলাতক আখতারুজ্জামান শাহিনের অধীনে মাসিক ষাট হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। শাহিনের নির্দেশেই তিনি জিহাদকে মুম্বাই থেকে কলকাতা এনেছিলেন। তাকে রাজারহাটে একটি ভাড়ার ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন।
এছাড়া খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র, পলিথিন, ট্রলি ব্যাগ সবকিছুই কিনে আনা হয়েছিল নিউমার্কেট এলাকা থেকে। অন্য দুই অভিযুক্ত ফয়সাল এবং মুস্তাফিজ রহমান মাংস কিমা করার মেশিন কিনে এনেছিলেন।
আনারকে হত্যা করার পর তার মাংস এবং হাড় আলাদা করা হয়। তারপর ছোট ছোট টুকরো এবং কিমা করা হয় ওই মেশিনে। ওই মেশিন এখন কোথায় তা জানে শুধু ফয়সাল সাজি।
মাংসের টুকরা ও হাড় উদ্ধার হলেও এখনো খোঁজ নেই সংসদের মাথার খুলি, কিংবা ব্যবহার করা অস্ত্রের। সিয়াম জানিয়েছেন, তারা একটি গাড়ি ভাড়া করে কৃষ্ণমাটিতে গিয়ে হাড় এবং মাথার অংশ ট্রলি থেকে বের করে খালের মধ্যে ছুড়ে ফেলেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ গোয়েন্দাদের দাবি, আরও কয়েক ধাপে, ভারতীয় নৌ সেনার সাহায্যে তলস্নাশি করা হবে নিউটাউনের অন্তর্গত ভাঙরের সাতুলিয়া এলাকার বাগজোলা খালে। তখনই আরও দেহাংশ মিলতে পারে।