লিবিয়ায় জিম্মি নাটোরের চার যুবক উদ্ধার

প্রকাশ | ১০ জুন ২০২৪, ০০:০০

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরের লিবিয়া প্রবাসী চার যুবককে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করেছে লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে তাদের পরিবারের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। লিবিয়ায় শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন কাজে কর্মরত ছিলেন তারা। গত ২ জুন মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি যুবকদের পরিবারের কাছে শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠাচ্ছিল অপহরণকারীরা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় লিবিয়া প্রবাসী সোহান মুক্ত হয়ে পরিবারের কাছে সেই ভিডিও বার্তা পৌঁছে দেন। সবাই মুক্ত হওয়ায় এখন অপহৃতদের পরিবার ও গ্রামে চলছে আনন্দের বন্যা। এর আগে, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চারজনকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করে তাদের হেফাজতে নেন। এ সময় দুই বাংলাদেশি ও ২ লিবিয়ান চারজন অপহরণকারীকে আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া যুবকরা হলেন- বিয়াঘাট চরপাড়া গ্রামের মো. শাজাহান প্রাং এর ছেলে মো. সোহান প্রাং (২০), মো. তয়জাল শেখের ছেলে মো. সাগর হোসেন (২৪), মৃত-শুকুর আলীর ছেলে নাজিম আলী (৩২) ও ইনামুল ইসলামের ছেলে মো. বিদু্যৎ হোসেন (২৬)। প্রবাসী বিদু্যতের মা বিউটি বেগম জানান, 'তার স্বামী অনেক আগে থেকেই লিবিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। পরবর্তীতে তার ছেলেসহ প্রতিবেশী আরও তিন যুবক এক সঙ্গে লিবিয়ায় যান শ্রমিক হিসেবে। তার ছেলেও অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। অপহরণ হওয়ার পর থেকেই পরিবার ও স্বজনদের আহাজারি থামছিল না। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার সময় তার স্বামী তাকে কল করে জানায় তার ছেলেসহ চারজনকেই লিবিয়ার স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার করেছে। রাতের মধ্যেই তার স্বামীর কাছে হয়তো ফিরে যাবে তার সন্তানসহ প্রতিবেশীদের সন্তানরাও।' গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. উজ্জল হোসেন জানান, 'ঘটনার পর থেকেই তিনি এ বিষয়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছিলেন। নাটোর পুলিশ সুপারের নির্দেশে শুরু থেকেই পরিবারগুলোর সঙ্গে থানা পুলিশ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছে।' উলেস্নখ্য, প্রায় দুই বছর আগে সোহান, সাগর হোসেন, নাজিম আলী ও বিদু্যৎ হোসেন লিবিয়ায় কাজের জন্য যান। গত ২ জুন লিবিয়া থেকে ওই ৪ প্রবাসীর পরিবারের 'ইমু' নম্বরে মোবাইল ফোনে তাদের অপহরণের খবর আসে। ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়া হলে তাদেরকে মেরে ফেলা হবে। তারপর থেকেই 'ইমু' নম্বরে জিম্মি যুবকদের শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয়। টাকা দিতে না পারলে নির্যাতনের মাত্রা প্রতিদিন বাড়তে থাকবে বলেও জানায় অপহরণকারীরা।