বিদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধের পর মালয়েশিয়ায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে দেশটিতে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শত শত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার জোহর রাজ্যে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ৮৪ বাংলাদেশিসহ তিন শতাধিক অভিবাসীকে আটক করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইমিগ্রেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল (অপারেশন) জাফরি এমবোক বলেন, 'ড্রোন নজরদারিসহ প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, সাড়ে ৮শ' থেকে এক হাজার অভিবাসীকে ১৩০ কনটেইনারে রাখা হয়েছিল। এনফোর্সমেন্ট অফিসার, সিভিল ডিফেন্স ফোর্স, ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, পিপলস ভলান্টিয়ার কর্পস (রেলা) এবং ন্যাশনাল অ্যান্টি-ড্রাগস এজেন্সিসহ ১৩০ জনের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকারী দলের আসার গাড়ির শব্দ শুনে আতঙ্কে
ছড়িয়ে পড়ে অভিবাসীদের মধ্যে। দলটি যখন নির্মাণস্থলে অভিযান চালায় তখন মোট ২৫২ জন অভিবাসীকে স্ক্রিন করা হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'তাদের মধ্যে ১২৯ জনকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর অধীনে নিয়ম লঙ্ঘন, ওভারস্টে, চাকরি লাভের মাধ্যমে তাদের সামাজিক ভিজিট পাসের অপব্যবহার করে অনুমতি ছাড়াই মালয়েশিয়ায় অবস্থান করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।'
নির্মাণস্থলে আটকদের মধ্যে একজন ৪০ বছর বয়সি মালয়েশিয়ান ছিলেন যিনি অভিযানে আটক ৩০ জন চীনা নাগরিকের অনুবাদক বলে দাবি করেছিলেন। অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাকে আটক করা হয়। একই স্থানে আটকদের মধ্যে ৮৪ বাংলাদেশি, ভারতীয়, ইন্দোনেশিয়ান, মিয়ানমার ও পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছে বলে বিবৃতিতে উলেস্নখ করা হয়।
বিবৃতিতে জানা যায়, অভিযানকারী দলটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অন্য নির্মাণস্থলে অভিযানের সময় ৭২৫ অভিবাসীকে স্ক্রিন করে। এর মধ্যে ১৯৮ জন সেদেশে থাকার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।