রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১

কোটা বাতিলে রোববার পর্যন্ত সরকারকে আলটিমেটাম

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
কোটা বাতিলে রোববার পর্যন্ত সরকারকে আলটিমেটাম

কোটা বাতিল ও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে সরকারকে আগামীকাল রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ। শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এসময় আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে শিক্ষার্থী সমাবেশেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ বলেন, 'শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চাচ্ছে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী ৩৫ চেয়ে আন্দোলন করে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাঠে কর্মসূচি চলমান রয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'কোটা ও বয়স বৃদ্ধি আন্দোলন দুটিই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মৌলিক ও ন্যায্য দাবি। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহান জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ৬ বছর পর এসে ২০২৪ সালে সেই পরিপত্র বাতিল করে আবার কোটা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। সরকারকে আগামী রোববারের মধ্যে কোটা বাতিল ও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রজ্ঞাপন দিতে হবে।'

এ সময় তিনি দাবি আদায়ে শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে শিক্ষার্থী সমাবেশের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-এর দাবিতে শুক্রবার ঢাবি ক্যাম্পাসে '৩০ এর কারাগার থেকে মুক্তি' প্রতীকী প্রতিবাদ করবে বলেও জানান।'

উলেস্নখ্য, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। কিন্তু বুধবার হাইকোর্ট পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করে। এর পর থেকেই সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক ও বিক্ষোভ নতুন করে ডালপালা মেলেছে।

কোটা আন্দোলনের একজন সংগঠক রাশেদ খান একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা ভেবেছিলেন কোটা ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই একটি 'মীমাংসিত' বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আদালতের রায়ে তাদের সেই ভুল ভেঙেছে।

তবে কোটা বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিভিন্ন সংগঠন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক রহিমুল ফারুক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'এটা আমাদের প্রাপ্য অধিকার বলে মনে করি। সেদিক থেকে এই রায় আমাদের জন্য একটি বিশাল অর্জন, আমাদের অধিকার রক্ষা করা হয়েছে। এমনকি ৩০ শতাংশের বদলে ২০ শতাংশ হলেও কোটা ব্যবস্থা থাকা উচিত। হাইকোর্টের রায়ের দ্রম্নত বাস্তবায়ন হোক, এটাই প্রত্যাশা করি।'

তবে কোটা ব্যবস্থার পক্ষে ও বিপক্ষে নানা রকম মন্তব্য করেছেন সামাজিকমাধ্যমের ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ। আর কোটা ব্যবস্থা নিয়ে এই বিতর্কের পেছনে এটির প্রচলন এবং বাতিলের প্রক্রিয়ার মধ্যেই গলদ দেখছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে