স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৩৩৫৬ কোটি টাকা

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতের জন্য ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট প্রস্তাবিত বাজেটের ৫ দশমিক ২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণের অব্যাহত অগ্রগতি বজায় রাখার নিমিত্তে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। মাতৃমৃতু্যর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি লাখে ৩৫১ যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ১৩৬ হয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুমৃতু্যর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি হাজারে ৬০, যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ৩৩-এ নেমে এসেছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলার জন্য কোভিড অতিমারির সময় থেকে সরকার বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে আসছে। এ বছরও আমরা এ খাতে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করছি। স্বাস্থ্য খাতের ডিজিটালাইজেশনেও উলেস্নখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল থেকে শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্য কর্মীদের ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। সব নাগরিককে একটি অভিন্ন হেলথ আইডি সংবলিত হেলথ কার্ড সরবরাহের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক হেলথ ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে ৬২টি হাসপাতালে শেয়ার্ড হেলথ রেকর্ড চালু করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় ই-স্বাস্থ্য নীতি কৌশল চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২৪টি বিশেষায়িত হাসপাতাল, ১৫টি জেলা হাসপাতাল এবং ৫৭টি উপজেলা হাসপাতালসহ ৯৬টি হাসপাতালে উন্নতমানের টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বাতায়ন নামে একটি হেলথ কল সেন্টার (১৬২৬৩) চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে টেলিফোনে ২৪ ঘণ্টা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ২০০৭ সালে ছিল ৬৬.৬, যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২.৩ এ উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এক বছর বয়সের নিচের শিশুর পূর্ণ টিকা প্রাপ্তির হার ৭৫ শতাংশ থেকে ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।