ভাড়াটিয়ার ছদ্মবেশে স্বর্ণালংকার চুরি নারীসহ চক্রের হোতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ভাড়াটিয়ার ছদ্মবেশে বাড়িতে ঢুকে নারীদের কাছ থেকে কৌশলে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও দামি জিনিসপত্র চুরি করে নেওয়া চক্রের এক নারী সদস্য ও চক্রের এক হোতাকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। তাদের মূল টার্গেট ছিল বাড়ির নারী মালিকরা বা মালিকের স্ত্রীরা। তিন বছরে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু নারীর স্বর্ণালঙ্কার চুরি করেছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কারওয়ান বাজারর্ যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি আরও জানান, অনেক দিন ধরেই কুমিলস্না, নরসিংদী, চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সেজে একটি চক্র বাড়িতে ঢুকে বাড়ির নারী মালিক বা মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেয়। গত ৩০ এপ্রিল এমনই এক ঘটনা ঘটে খুলনা জেলার বানরগাতী এলাকার একটি বাড়িতে। বাড়িটিতে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার নোটিশ ঝোলানো ছিল। সেটি দেখেই টার্গেট করে চক্রটি। গ্রেপ্তার নারী ও পুরুষ নিজেদের স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই বাড়িতে ঢোকেন। পরে কৌশলে বাড়ির মালিকের স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানায় অভিযোগ হয়। র্ যাব কর্মকর্তা কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, গত ৩ জুন রাতের্ যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ওর্ যাব-১১ যৌথভাবে নরসিংদী সদর থানাধীন বাসাইল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়া চক্রের অন্যতম মূলহোতা আলী হাসান সোহেল (৫৫) ও তার সহযোগী সালমা বেগমকে (৫৩) গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছে পাওয়া গেছে একটি চোরাই স্বর্ণের চেইন ও দুটি স্বর্ণের কানের দুল এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত নানা আলামত। গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে র?্যাব কর্মকর্তা জানান, বাসা ভাড়ার নোটিশ দেখে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল খুলনার বানরগাতির ওই বাড়িতে যায় গ্রেপ্তাররা। বাড়ির মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে কৌশলে বাড়ি মালিকের স্ত্রীর স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার আলী হাসান সোহেল চক্রের মূলহোতা। তার এক মামিও আছে একই চক্রে। চক্রের সদস্য সংখ্যা ৮ জন। তিন বছর ধরে চক্রটি এভাবেই প্রতারণা করে আসছিল। যেসব বাড়ির মালিক নারী বা বাড়ির সার্বিক তদারকির দায়িত্ব নারীরা পালন করেন, তাদেরই টার্গেট করত চক্রটি। চক্রটি বাড়ির মালিকের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতে নারিকেল, দুধ, তাজা মাছ, ফলমূলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উপহার বাড়ির মালিকের জন্য নিয়ে গিয়ে বলত সেগুলো গ্রাম থেকে পাঠিয়েছে। এভাবেই সখ্যতা গড়ে তুলে স্বর্ণালংকার চুরি করত।