আবারও মিয়ানমারে ভূমিকম্প, কাঁপল বাংলাদেশও
\হ
আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মিয়ানমার। তার সঙ্গে কাঁপল প্রতিবেশী বাংলাদেশও। রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩৪ মিনিটে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে এ
ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের (এনসিএস) তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিজোরামের এনগোপা শহর থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১০ কিলোমিটার গভীরে।
অবশ্য মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) হিসাব বলছে, মিয়ানমারের মওলাইক শহরের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ৪ দশমিক ৮ ছিল।
একই ভূমিকম্পে বিভিন্ন সংস্থার পরিমাপ করা মাত্রা ভিন্ন হওয়ার উদাহরণ নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন কারণে এতে ভিন্নতা দেখা যেতে পারে।
মিয়ানমারে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির প্রভাব বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রামেও অনুভূত হয়েছে। এর আগে গত বুধবার (২৯ মে) মাত্র ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার ভূমিকম্পে কেঁপেছিল বাংলাদেশের দুই সীমান্তবর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার। এর মধ্যে মিয়ানমারে আঘাত হানে দুটি ভূকম্পন, আর ভারতে একটি।
এনসিএসের তথ্যমতে, ২৯ মে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে প্রথমবার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ২।
বাংলাদেশের সিলেট সীমান্ত থেকে এই
অঞ্চলটি খুব বেশি দূরে নয়।
এর কয়েক মিনিট পরই ভূকম্পন অনুভূত হয় ভারতের হিমাচল প্রদেশে। লাহৌল ও
স্পিতি অঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের
মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ১।
একই দিন সন্ধ্যায় মিয়ানমারে আঘাত হানে আরও একটি ভূমিকম্প। প্রথমটি মৃদু হলেও বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সন্ধ্যা ৭টা ১৩ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ছিল মাঝারি মাত্রার। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। বাংলাদেশ এবং ভারতেও অনুভূত হয় এই ভূমিকম্পের প্রভাব।
ঈদের ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু
\হযাযাদি ডেস্ক
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ১২ জুনের টিকিট বিক্রি রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়। তবে অনলাইনে চাপ এড়াতে পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রির সময় আলাদা করা হয়। এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি। আর পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হয় দুপুর ২টা থেকে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বিক্রির প্রথম তিন ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ হাজার ১৫৭টি টিকিটের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বিক্রি হয়ে গেছে। তবে পশ্চিমাঞ্চলের অন্য দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনায় কিছু টিকিট অবিক্রীত রয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, 'পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিক্রির শুরুতেই প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। প্রথম তিন ঘণ্টায় যাত্রীদের টিকিট কাটতে প্রায় ৭০ লাখ হিট পড়েছে। তবে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিক্রির সময় উত্তরবঙ্গের টিকিটের অনেক চাহিদা ছিল।'
রেলওয়ের কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৩ জুনের আসন বিক্রি হবে ৩ জুন, ১৪ জুনের আসন বিক্রি ৪ জুন, ১৫ জুনের আসন বিক্রি ৫ জুন এবং ১৬ জুনের আসন বিক্রি হবে ৬ জুন।
এর আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২ জুন থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয়।