শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

বগুড়ায় মা-ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, বাবা গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
  ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
বগুড়ায় মা-ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, বাবা গ্রেপ্তার

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে মা ও তার এক বছরের ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের হত্যার অভিযোগে রোববার দুপুরে শিশুটির বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতের কোনো একসময় বনানী শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দুজন হলেন- মা আশামণি (২০) ও তার ছেলে আবদুলস্নাহ আল রাফি। অভিযুক্ত সেনাসদস্য আজিজুল হক (২৩) চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত। দুই মাসের ছুটিতে তিনি সপরিবারে বগুড়ায় আসেন। আজিজুল বগুড়ার ধুনটের হামিদুর রহমানের ছেলে।

হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাতে পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় আজিজুল তার স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে শাজাহানপুর উপজেলার বনানী বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। রাত ৮টায় হোটেলের ওই কক্ষে স্ত্রী ও সন্তানকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে শিশুসন্তানের বিচ্ছিন্ন মাথা শহরের চেলোপাড়া রেলওয়ে ব্রিজের ওপর থেকে করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়।

নিহত আশামণির বাবা আসাদুল ইসলাম জানান, 'প্রায় তিন বছর আগে আজিজুলের সঙ্গে বিয়ে হয় আশামণির। তাদের সংসারে এক বছর বয়সি এক ছেলেসন্তান রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর থেকেই আশা তার বাবার বাড়ি নারুলীতে থাকেন। এর মধ্যে দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসেন আজিজুল। ছুটি শেষে শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা তার। এর আগে সন্ধ্যায় মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে বের হয় আজিজুল। এরপর তার বউ ও ছেলে হারিয়ে গেছে বলে তাকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। সদর থানা পুলিশের নিকট গিয়ে নিখোঁজের বিষয়ে অভিযোগও করে।'

হোটেলের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান, রোববার সকালে হোটেলে এসে আজিজুল জানান তিনি হোটেলের রুম ছেড়ে দেবেন। এই সময় ম্যানেজার রুম বুঝিয়ে দিতে বললে টালবাহানা শুরু করেন আজিজুল। এরপর চাপাচাপির এক পর্যায়ে রুমে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা বলেন আজিজুল। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ হত্যার ঘটনা পুলিশকে জানায়।

এ ব্যাপারে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, এটি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃত আজিজুল হোটেলে অন্য নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেছিল। শিশুটির খন্ডিত মাথা উদ্ধারের জন্য ডুবরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যাকান্ডের মূল কারণ বের হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে