চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে স্বর্ণ গায়েব

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

চট্টগ্রাম বু্যরো
চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চকবাজার শাখার লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণ গায়েবের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, নগরীর বেভারলি হিল এলাকার বাসিন্দা ও ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক রোকেয়া বারী ব্যাংকের একটি লকারে প্রায় ১৬১ ভরি স্বর্ণের গহনা রেখেছিলেন। ২৯ মে লকার ইনচার্জের সঙ্গে লকার রুমে প্রবেশ করে তিনি দেখতে পান যে, তার লকারটি খোলা এবং সেখানে গহনা নেই। পরে তিনি চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ সাধারণ ডায়েরি না নিয়ে ভুক্তভোগীকে আদালতে ফৌজদারি মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মো. মারজিক বলেন, ইসলামী ব্যাংকের লকারে প্রায় ১৬১ ভরি স্বর্ণ ছিল। তার মধ্যে ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েব হয়েছে জানা গেছে, গায়েব হওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে রয়েছে- ৪০ পিস হাতের চুুরি (বড় সাইজ), যার ওজন ৬০ ভরি। গলা ও কানের অলঙ্কার, যার ওজন ২৫ ভরি। ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট, ২৮ ভরি ওজনের ৭টি গলার চেইন। ১৫ ভরি ওজনের ৪টি আংটি। ৩০ জোড়া কানের দুল, যার ওজন ১১ ভরি। এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ম্যানেজার শফিকুল মাওলা। তিনি বলেন, 'গ্রাহকের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে আসলে গ্রাহক মিথ্যে বলছেন কিনা।' ভুক্তভোগী রোকেয়ার ছেলে ডাক্তার রিয়াদ মোহাম্মদ মারজিক বলেন, '২০০৭ সাল থেকে আমার মা এই শাখায় তার স্বর্ণের গহনা রাখার জন্য লকার ব্যবহার করে আসছেন। গত ২৯ মে দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে লকার রুমের ইনচার্জকে তার লকার দেখার অনুরোধ করেন। মায়ের কাছে লকারের মূল চাবি আছে এবং আরেকটি ডুপিস্নকেট চাবি ইনচার্জের কাছে থাকে। লকার রুমে প্রবেশ করলে ইনচার্জ প্রথমে দেখেন যে মায়ের লকারটি খোলা। আমার মা লকারটি পরীক্ষা করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান।' তিনি বলেন, 'লকার খোলা থাকায় বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে চকবাজার থানার ওসিকে জানাই। তিনি ব্যাংকে এসে লকার রুম দেখেছিলেন। এরপর আমরা একটি সাধারণ ডায়েরিও করতে চেয়েছি। কিন্তু ওসি আমাদেরকে আদালতে মামলা করতে বলেছেন। আমি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। সোমবার আদালতে মামলা করা হবে।' তিনি বলেন, 'ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে ৭ দিনের সময় চেয়েছিল। আমরা তাদেরকে রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছি। যাহোক, আমরা সোমবার মামলা করবো।' এ বিষয়ে সিএমপি চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লকার রুমে কোনো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নেই। ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ভুক্তভোগীকে আমরা ফৌজদারি মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছি। যদি মামলা দায়ের করেন, আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'