সাংবাদিককে 'গুলি' করার হুমকির অভিযোগ এএসআইর বিরুদ্ধে

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার আশুলিয়া থানা অভ্যন্তরে এক সাংবাদিককে 'গুলি' করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মো. দুলাল নামে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশের ওই কর্মকর্তা বর্তমানে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে (জিএমপি) কর্মরত। শুক্রবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আশুলিয়ার মুসলিমটেক নামাপাড়া এলাকায় পুলিশের ওই কর্মকর্তা মো. দুলালের স্ত্রী শাহনাজ পারভীনের বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন রংপুরের পীরগঞ্জের ভগবানপুরের বাসিন্দা মো. শামীম মিয়া। তিনি একমাস আগেই মালিককে জানান, মে মাস শেষে বাসা ছেড়ে দেবেন তারা। সে অনুযায়ী, ৩১ মে শুক্রবার সকালে বাসার মালামাল গোছানো শুরু করলে শাহনাজ পারভীন তাদের দুপুরের মধ্যেই বাসা ফাঁকা করতে বলেন। এ নিয়ে তর্কের জেরে ভাড়াটিয়াকে মারধর করেন তিনি। এক পর্যায়ে বঁটি দিয়ে শামীমের স্ত্রীর হাতে কোপ দেন। মারধর করা হয় তার কন্যাকেও। শামীমের স্ত্রীকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে হাতে সেলাই দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার শুক্রবার দুপুরে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য গেলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা সেখানে হাজির হন এবং ভাড়াটিয়াকে দেখে ক্ষিপ্ত হন। এ সময় সেখানে থাকা নিউজ পোর্টাল বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমের সাভার প্রতিনিধি মো. কামরুজ্জামান এগিয়ে গিয়ে 'আইন তো সবার জন্য সমান' বলার সঙ্গে সঙ্গে ওই কর্মকর্তা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং রাগারাগি করে সেখান থেকে চলে যান। মো. কামরুজ্জামান বলেন, 'এ ঘটনার পর বিষয়টির সমাধানে উভয় পক্ষকে নিয়ে থানা ভবনের দ্বিতীয়তলায় আলোচনায় বসেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোতালেব। অভিযুক্ত পুলিশের কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ভাড়াটিয়ারা নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করেন না। বাসায় অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা বেশি হয়।' সাংবাদিক কামরুজ্জামান আরও বলেন, 'এক পর্যায়ে ভাড়াটিয়া শামীম কথা বলতে গেলে ওই কর্মকর্তা তাকে পেটে লাথি দিয়ে ভুড়ি বের করার হুমকি দেন। তখন আমি জানতে চাই, ভাড়াটিয়ারা বাসাভাড়া ঠিকমতো না দিলে ৫ বছর ধরে কিভাবে তাদের বাসায় রেখেছেন? এ সময় তিনি আমাকে গুলি করে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোতালেব ধমক দিয়ে অভিযুক্তকে থামিয়ে দেন।' এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'বাসার ভাড়াটিয়ার সঙ্গে আমার স্ত্রীর সমস্যা হয়েছিল। তেমন কিছু হয়নি।' সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি তো জানতাম না তিনি সাংবাদিক। জানার পর আমি তাকে সরি বলেছি।' আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, 'এখনো এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'