শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে চলতি অর্থবছরে হ্যান্ডলিং হবে ৩.২ মিলিয়ন টিইইউএস কনটেইনার

খোরশেদুল আলম শামীম, চট্টগ্রাম
  ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রাম বন্দরে রাখা কনটেইনার -ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেশি। বর্তমানে কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে এবং রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৩.২ মিলিয়ন টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে। জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

তিনি বলেন, বর্তমানে কনটেইনার জাহাজ বহির্নোঙরে আসার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে জেটিতে ভিড়ছে, ক্ষেত্রবিশেষে অন-অ্যারাইভেল জেটিতে ভিড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ২০২২-২০২৩ এর একই সময়ের তুলনায় ৮.২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে জেনারেল কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫৯ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেশি। বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার একটি।

তিনি বলেন, বিগত এক বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪৩ হাজার বর্গমিটার কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এ কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের ফলে অতিরিক্ত ৭ হাজার টিইইউএস কনটেইনার ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি আরও ৩টি নতুন কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আগত রাসায়নিক পদার্থসমূহকে নিরাপদে সংরক্ষণ ও ছাড়করণের লক্ষ্যে দ্বিতলবিশিষ্ট ৪ হাজার ২৭৫ বর্গমিটার আয়তনের একটি কেমিক্যাল শেড নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা

\হরক্ষার্থে নদীর উভয় পাড়ে ২৮৫০ মিটার ব্যাংক প্রটেকশন কাজ সম্পাদন করা হয়েছে।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রসঙ্গে রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের নবনির্মিত চ্যানেলটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক গ্রহণ করার পর গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন চ্যানেলে বয়া এবং নেভিগেশনাল ট্রানজিট স্থাপন করে অদ্যাবধি ১৩৫টি জাহাজ নিরাপদে বার্থিং-আনবার্থিং করা হয়েছে।

উলেস্নখ্য, বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বর্ণদ্বার হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাস সুপ্রাচীন। প্রাগৈতিহাসিক বিভিন্ন দলিল দস্তাবেজ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে চট্টগ্রাম থেকে সমুদ্র পাড়ির কথা জানা যায়। পরবর্তীতে আরব ও ইয়েমেনি বণিকরা এবং তারপর ক্রমান্বয়ে চাইনিজ, পর্তুগিজ, ডাচ ও ব্রিটিশরাও এই বন্দর ব্যবহার করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে