শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১
বেড়েছে মাছ-ডিম, আলু-পেঁয়াজ ও রসুনের দাম, কমেছে মুরগির

বাজারে অসহায় মধ্যবিত্ত!

যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০
বাজারে অসহায় মধ্যবিত্ত!

নিত্যপণ্যের বাজার নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে আগেই। চড়া মূল্যের বাজার নিয়ে এখন অসহায়ত্ব ঘিরে ধরেছে মধ্যবিত্তকে। বাজারে মাছ, মাংস, ডিম এমনকি সবজিতেও দামের আগুন। কোরবানির ঈদের আর দুই সপ্তাহ বাকি। ঈদকে কেন্দ্র করে এখন বাজারে পণ্যদ্রব্যের দাম ওঠানামা করছে। রোজার ঈদের আগে থেকেই সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও শুকবার কিছুটা কমেছে। এদিকে তেলাপিয়া কিংবা পাঙাশ, কার্ফু কিংবা ব্রিগেড সব মাছের দামই বাড়ন্ত। এরপরও মধ্যবিত্তের বাজারের ব্যাগে কম-বেশি মাছ উঠলেও নিম্ন মধ্যবিত্তের দীর্ঘশ্বাস মাছ বাজারে হাঁক-ডাকেই মিলিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের তথ্য অনুযায়ী, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে দুই শ'র নিচে। একই সঙ্গে কমেছে কক মুরগি ও লেয়ার মুরগির দামও। বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানি ঈদ আসছে বলেই এখন মুরগির দাম কমেছে।

বাজারে একটু বড় সাইজের পাঙাশ মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায়। এই দামে মধ্যবিত্ত শ্রেণি মাছের স্বাদ নিতে পারলেও নিম্নবিত্ত কিংবা শ্রমজীবী মানুষজন কেনার কথা চিন্তাও করতে পারছেন না।

রাজধানীর নিউমার্কেট এবং আশপাশের কাঁচাবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হরেক রকমের এবং ভিন্ন-ভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছের ব্যাপক সমাহার। রুই, কাতলা, ইলিশ, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি, হরিণা চিংড়ি, কার্ফু, নলা, কই (দেশি), কই (থাই), শিং, মাগুর, শৈল, টেংরা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, কাচকি, মলা, পাবদা, রূপচাঁদা, আইড়, শিং, টাকি, বোয়ালসহ বাজারজুড়ে অসংখ্য মাছ উঠেছে। তবে এসব মাছ একদামের ঘরে আটকে আছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবারের বাজারে ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৪০০-১৮০০ টাকা, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই ২৬০-২৯০ টাকা, রুই মাছের পোনা ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ২০০-২৫০, ছোট পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, পাবদা (আকারভেদে) ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি (আকারভেদে) ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ (দেশি ও থাই) ৩০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ যথাক্রমে ৭০০-৮০০, ১০০০-১৩০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ছোট মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সুরমা, রূপচাঁদা, লাল কোরাল এবং বাটা মাছ ২০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে এসব মাছের দাম ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কম-বেশি হতে দেখা গেছে।

আমিন নামে এক মাছ বিক্রেতা বলেন, 'সামনে মাছের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ বন্যার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ মাছের ঘের ভেসে গিয়েছে। যার প্রভাব এখন বাজারে পড়বে। মাছের দাম আগে যেমন ছিল আজও তেমন আছে। হয়তো ছুটির দিন হিসেবে পাঁচ-দশ টাকা এদিক-সেদিকে হচ্ছে।'

শরিফুল ইসলাম নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, 'শুক্রবার দিন আমরা বেশি করেই মাছ রাখি। কারণ সবাই ছুটির দিন হিসেবে একটু বেশি কেনাকাটা করে। অনেকেই পুরো সপ্তাহের কেনাকাটা করে রাখে। বিক্রিও ভালোই হয়। আর দামও আগের মতোই আছে। তবে সবকিছুর দাম যেমন বেশি মাছের দাম একটু বেশি। মাছ চাষেও এখন অনেক বেশি খরচ। তারপর ঢাকায় আনার পরিবহণ খরচও বেশি। সব মিলিয়ে ঢাকার সব খুচরা বাজারগুলোতেই বাড়তি দামের প্রভাব একটু রয়েছে।'

এদিকে ক্রেতারা বলছেন, একটু ভালো এবং বড় সাইজের মাছ নিতে হলে দেড় হাজার টাকার নিচে নেওয়া যাচ্ছে না। সেটা রুই হোক আর কাতলা হোক। আর পাঙাশ মাছ একটি নিতে গেলেও ৫০০-৭০০ টাকার ওপর দাম পড়ে যায়। সেজন্য এখন মাছ ভাগ হিসেবে কেনার সুযোগ থাকা দরকার।

জুয়েল রানা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, 'মেসের জন্য বাজার করতে এসেছি। এখন মাথা ঘুরে যাচ্ছে। এক মাছ কিনেই মনে হচ্ছে সব টাকা শেষ হয়ে যাবে। তেলাপিয়া আর পাঙাশ ছাড়া অন্য কোনো মাছ কেনার সাহস করতে পারছি না। দাম এমন বেশি হলে আমাদের মতো শিক্ষার্থী বা মেসের বাসিন্দাদের মাছ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।'

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে মুরগির মাংসের দাম কমলেও বেড়ে চলেছে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের মতো পণ্যের দাম। কোরবানির ঈদে এসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ছে। আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের কাঁচা বাজারের তথ্যমতে, কয়েকটি সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে আবার কমেছেও কয়েকটির। তবে বেশিরভাগ সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজারে টমেটো ১০০ টাকা, দেশি গাজর ৯০ টাকা, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৭০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৭০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, করলস্না ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, পটোল ৫০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ১০০-১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, সজনে ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৫০-৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে।

এদিকে সবজির দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের দাম। শুক্রবার মানভেদে ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, লাল আলু ৫৫ টাকা, সাদা আলু ৬০ টাকা, বগুড়ার আলু ৭০ টাকা, নতুন দেশি রসুন ২২০ টাকা, চায়না রসুন ২২০-২৩০ টাকা, চায়না আদা ২৬০ টাকা, ভারতীয় আদা ২৬০ দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় সপ্তাহের ব্যবধানেই ক্রস জাতের পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা, দেশি পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা, সাদা আলুর দাম ৫ টাকা, দেশি রসুনের দাম ২০ টাকা এবং চায়না রসুনের দাম ১০ টাকা হারে বেড়েছে।

দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. লিটন বলেন, 'এখন আর দাম কমার কোনো সুযোগ নাই। এখন শুধু দাম বাড়বে। ঈদের আগে পর্যন্ত এমন দামই থাকবে।'

আরেক বিক্রেতা মো. সালাম বলেন, 'কোরবানির ঈদের আগে সাধারণত আদা-রসুন পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়, এবারও বেড়েছে। এখন যে দাম রয়েছে কয়েকদিন পরে হয়তো আরও বেড়ে যাবে।'

অন্যদিকে, মুরগির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে গরুর মাংস ও ডিমের দাম। গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ থাকলেও আজ তা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকা কেজি দরে। আর মুরগির লাল ডিম ১৫০ টাকা এবং সাদা ডিম ১৪০ টাকা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে লাল ডিমের দাম প্রতি ডজনে বেড়েছে ৫ টাকা করে।

ডিমের দোকানের বিক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, 'প্রতিদিনই পাইকাররা ১০ টাকা করে বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে তো সমস্যা।'

আনোয়ার ডিমের আড়তের বিক্রেতা বলেন, 'পাইকাররা বলেন- ডিম নাকি কম তাই দাম বাড়ছে। কিন্তু কয়েকদিন ডিম আমার চাহিদা থেকে কম পেয়েছিলাম, এখন তো ঠিকই পাচ্ছি। তাহলে ডিম আর কম থাকল কই?'

এদিকে সবকিছুর দাম বাড়তে থাকলেও মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। শুক্রবার প্যাকেট পোলাওয়ের চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাওয়ের চাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ডাবলি ৮০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৩৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

চট্টগ্রামে মাছ-মাংস-ডিম

ও সবজির দামে আগুন

এদিকে চট্টগ্রামের বাজারেও পালস্না দিয়ে বেড়েছে মাছের দাম। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বেড়েছে সবজির দামও। গত সপ্তাহে কিছু সবজির দাম কমলেও এ সপ্তাহে বরবটি, টমেটো, কাঁচামরিচসহ দাম বেড়েছে কয়েকটি সবজির। শুক্রবার নগরের চকবাজার, অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো, কাজীর দেউড়ি, কর্ণফুলী কমপেস্নক্স, খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজারের চিত্র ছিল এমনটি।

কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে দাম দ্বিগুণ হয়েছে বরবটির। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে টমেটো ৮০ টাকা এবং ২০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। মিষ্টি কুমড়া ও লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়শ ও চিচিঙ্গা। শসা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। করলা, বেগুন, আলু ও ঝিঙে ৬০ টাকা। লতি ও কচুর ফুল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোনালি মুরগির দামে ট্রিপল সেঞ্চুরি। ২৮০ টাকা কেজি সোনালি মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকায়। আর ব্রয়লার ২০০ থেকে ২২০ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি আর খাসি ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আকারভেদে রুই মাছ ২৬০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা, মৃগেল ২০০-২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, স্যালমন ফিশ ৪৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, রূপচাঁদা জাত ও আকারভেদে ৫৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, সুরমা ৩৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ৩৭০ টাকা এবং নারকেলি মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতি ডজন ১৫০ টাকা।

খাতুনগঞ্জে ৪০-৬০ টাকা কমে জিরা ৬৬০ টাকা, ১২০ টাকা কমে লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং ৫ টাকা কমে দারুচিনি ৩৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে গোল মরিচের দাম। খাতুনগঞ্জে ৮২০ টাকা থেকে ৮৩০ টাকা কেজি দরে পণ্যটি বিক্রি হয়েছে। এখনো বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে হলুদ, এলাচ, গোলমরিচ এবং আদা। বৃহস্পতিবার হলুদ ২৬০ টাকা, এলাচ ৪ হাজার ২০ টাকা, আদা ২২০ টাকা, রসুন ১৯০ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে খাতুনগঞ্জে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন বলেন, 'সব ধরনের মসলা যথেষ্ট আমদানি হয়েছে। তাই এখন সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমতে শুরু করেছে। কোরবানির ঈদে কোনো সংকট হবে না।'

হামজারবাগ বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ আরজু বলেন, 'গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মুরগির দাম লাগামহীন। কিছুদিন গরম ছিল, তখন ফার্মে মুরগি মারা গেছে। এরপর আবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডব। তাই কমেছে সরবরাহ। আরও কিছুদিন বাড়তি দামেই মুরগি বিক্রি করতে হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে