রেমালের প্রভাবে
ঢাকার বাতাসের
মান 'গ্রহণযোগ্য'
ম যাযাদি ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় সোমবার দিনে-রাতে টানা বৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ঢাকার বাতাসে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বাতাস 'গ্রহণযোগ্যমানের' ছিল।
বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১৯টি শহরের মধ্যে এদিন সকাল ৯টার দিকে ঢাকার অবস্থান ছিল ৪২তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের
মানসূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ৫৬। বাতাসের এই মান 'মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের'
হিসেবে বিবেচিত।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল ভারতের নয়াদিলিস্ন। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ২৭৭। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল যথাক্রমে পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। লাহোরের স্কোর ১৬৫। জাকার্তার ১৬১।
আইকিউএয়ারের মানদন্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল
গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ
ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস।
স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে
খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১
থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ
বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।
৪৬ হাজার প্রাথমিক
শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া
হাইকোর্টে স্থগিত
ম যাযাদি ডেস্ক
তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত ও পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের ভাইভা পরীক্ষা চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করলেন।