প্রতিদিন কমছে কৃষিজমি। অন্যদিকে খাবারের জন্য বছরে প্রায় ২৫ লাখ মুখ যুক্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খরা, অতিবৃষ্টিসহ নানা সংকেটর মুখে পড়েছে কৃষি খাত। অল্প জমিতে উচ্চ ফলনের নিশ্চয়তা প্রদান করে। সেজন্য টেকসই উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সব অসত্য ধারণার অবসান ঘটিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানের ব্যাপারে উৎপাদক, কৃষক ও ভোক্তাদের স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অ্যাগ্রিকালচার বায়োটেকনোলোজি কোয়ালিশন (এবিসি), গেস্নাবাল সাউথ হাব, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ এবং এলায়েন্স ফর সাইন্সের সম্মিলিত উদ্যোগে-জিএমও নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা শীর্ষক এক উন্মুক্ত আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক।
আলোচনায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ব্রি বা এর বিজ্ঞানীরা গবেষণা সিদ্ধ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কথা বলে, অনুমান বা আবেগের ভিত্তিতে নয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অপর্ণা ইসলাম বলেন, জিএমও প্রযুক্তি একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিইও আরিফ হোসাইন বলেন, জেনেটিক প্রযুক্তিতে গবেষণালব্ধ ফসল পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি থেকে শুরু করে কম কীটনাশক ব্যবহারে অধিক ফলন হয়। সেজন্য টেকসই উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সব অসত্য ধারণার অবসান ঘটিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা তুলে ধরতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষণা পরিচালক ডক্টর মো. আব্দুলস্নাহ ইউসুফ আখন্দ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।