কদমতলীতে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর কদমতলীতে পৃথক ঘটনায় এক গৃহবধূ ও এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান হাবীব বলেন, মোবাইল নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে অটোরিকশা চালক স্বামী নুরু উদ্দিন (১৯) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ আসে। সকালে খবর পেয়ে তেলকল মোলস্না বাড়ির ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার নলুয়া ভূঁইয়ার হাট গ্রামের আলাউদ্দিন ও ফাতেমা বেগমের ছেলে নুরু উদ্দিন। স্ত্রী আনিকাকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুন নাহার বলেন, সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ট্রিপল নাইনে সংবাদ পেয়ে মুরাদপুর হাইস্কুল রোড বাসা থেকে রহিমা বেগম (২২) নামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ভাই সবুজ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানিয়েছেন, তার ভগ্নিপতি বোনকে মেরে ফেলেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসআই আরও জানান, রহিমা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিল। গত ২৬ মে রাত সাড়ে ৪টার দিকে স্বামী আল-আমিন তাকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তিনি তার স্বজনদের সংবাদ দেন। পরে তারা বাসায় গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃতু্যর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মো. সুরুজ ও সুরমা বেগমের মেয়ে রহিমা।
মাদকাসক্ত ছেলের হাতে বাবা খুন
\হযাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার একটি বাসায় মাদকাসক্ত ছেলের ছুরিকাঘাতে উমেশ চন্দ্র সরকার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ বাবা নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ছেলের নাম বিষ্ণু চন্দ্র সরকার (৩৫)।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্টাফ কোয়ার্টার দেলস্না এলাকার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় উমেশ চন্দ্র সরকারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মেয়ে রুপালি রানী জানান, তার বাবার বাড়ি স্টাফ কোয়ার্টার দেলস্না এলাকায়। বাবার বাড়ির পাশেই তার স্বামীর বাড়ি। সকাল ১০টার দিকে তিনি খবর পান, তার বাবাকে ছুরি মেরেছে তারই ভাই বিষ্ণু। তখন তিনি দৌড়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে দেখেন, উঠানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তার বাবা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তার ভাই বিষ্ণু মাদকাসক্ত। পরিবারের কাউকেই সে সহ্য করতে পারত না। বোনদেরকেও তাদের বাড়িতে যেতে নিষেধ করত। এ ঘটনার পর থেকে বিষ্ণু পলাতক। এক ছেলে ও তিন মেয়ের জনক উমেশ চন্দ্র সরকার আগে একটি জুটমিলে চাকরি করতেন। আর অভিযুক্ত ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র সরকার স্টাফ কোয়ার্টার এরাকায় মোটর মেকানিকের কাজ করেন। ঘটনার সময় বাড়িটিতে বাবা-ছেলে ছাড়া আর কেউ ছিল না। নিহত উমেশ চন্দ্রের স্ত্রী গিতা রানীও মেয়ের বাসায় ছিলেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত উমেশ চন্দ্রের বুকে একটি জখম রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ডেমরা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।