ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল'
বিদু্যৎ বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য
প্রকাশ | ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রায় ৮০টি পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির ভৌগোলিক এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৬৫টি সমিতিতে গ্রাহক সংযোগ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। সোমবার বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন রেমালের আঘাতে বিদু্যৎ বিভাগের ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকার ৩০টি সমিতিতে রেমালের আঘাতে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য: পোল বিনষ্ট-২৩৯২টি, ট্রান্সফর্মার বিনষ্ট-১৯৮২টি, স্প্যান (তার ছেঁড়া) ৬২,৪৫৪টি, ইনসুলেটর ভাঙা ২১,৮৪৮টি, মিটার বিনষ্ট ৪৬,৩১৮টি। সার্বিকভাবে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি ৭৯০২ (ঊনআশি কোটি দুই লাখ) টাকা। সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, বিদু্যৎবিহীন গ্রাহক-১,২৬,৭৯,০০০ (এক কোটি ছাব্বিশ লাখ ঊনআশি হাজার।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য : পোল বিনষ্ট ২০টি, পোল হেলে পড়া ১৩৫টি, বৈদু্যতিক তার ছিঁড়ে যাওয়া ২৪.৩৪ কিমি, ১১ কেভি পোল ফিটিংস বিনষ্ট হওয়া ১৪২ সেট, ট্রান্সফরমার বিনষ্ট ১২টি, ১১ কেভি ইনসুলেটর বিনষ্ট ১৩৪। সার্বিকভাবে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি ৫,৭৬,৭৫,৫০০ (পাঁচ কোটি ছিয়াত্তর লাখ পঁচাত্তর হাজার পাঁচশত) টাকা। সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদু্যৎবিহীন গ্রাহক সংখ্যা ৪,৫৩,০৮১ (চার লাখ তিপান্ন হাজার একাশি)।
ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ঋঝজট-এর অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থাপনাসমূহের কোনো ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়নি। এখনো প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি ও সাগরে ঐরময ডধাব বিদ্যমান রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হ্রাসকৃত জখঘএ সরবরাহ রোববার বিকাল থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে বর্তমানে তা ১০০০ এমএমসিএফডিতে উন্নীত হয়েছে। সোমবার দুপুর থেকেই তা ১১০০ এমএমসিএফডিতে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় চলমান থাকায় ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করে ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তদারকি করা হচ্ছে। জেলা পর্যায় ও সমিতিভিত্তিক কন্ট্রোল রুম রয়েছে। পরিবহণ ঠিকাদারকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) এলাকায় সব ধরনের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিদু্যৎ বিভাগের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদু্যৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) লোকজন প্রয়োজনীয় মালামালসহ প্রস্তুত রয়েছে। ঝড় বা বাতাস কমার সঙ্গে সঙ্গে বিদু্যৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি