বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটির বেশি শিশু প্রতিবছর অনলাইন যৌন শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সোমবার গুরুতর এই সমস্যার বিষয়ে অনুমান করা প্রথম বৈশ্বিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। সেই পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে অনলাইনে শিশু নির্যাতনের এই ভয়াবহ চিত্র।
ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের গবেষকরা দেখেছেন, গত ১২ মাসে বিশ্বের প্রতি আটজনের একজন শিশু যৌন ছবি বা ভিডিও সম্মতিবিহীন গ্রহণ, শেয়ার ও এক্সপোজারের শিকার হয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে এর পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি ২০ লাখ।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের চাইল্ডলাইট গেস্নাবাল চাইল্ড সেফটি ইনস্টিটিউট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও অন্য যুবকদের মাধ্যমে অবাঞ্ছিত সেক্সটিং (যৌন বিষয়ক চ্যাটিং) এবং যৌন ক্রিয়াকলাপের অনুরোধের ক্ষেত্রেও একই সংখ্যক ঘটনা ঘটেছে।
এসব অপরাধের মধ্যে তথাকথিত সেক্সটর্শন (অপরাধীরা ছবি গোপন রাখার জন্য ভিকটিমদের কাছ থেকে টাকা দাবি করে) থেকে শুরু করে ডিপফেক ভিডিও ও ছবি তৈরির জন্য এআই প্রযুক্তির অপব্যবহারের মতো বিষয়গুলোও রয়েছে।
গবেষণা বলছে, সমস্যাটি বিশ্বব্যাপী। কিন্তু এতে যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বিশেষভাবে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। সেখানে প্রতি নয়জন পুরুষের একজন কোনো না কোনো সময়ে শিশুদের বিরুদ্ধে অনলাইন অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।
চাইল্ড লাইটের প্রধান নির্বাহী পল স্ট্যানফিল্ড বলেন, শিশু নির্যাতনের বিষয়বস্তু এতটাই প্রচলিত যে, ওয়াচডগ বা পুলিশিং সংস্থাগুলোর কাছে গড়ে প্রতি সেকেন্ডে একটি অভিযোগ রিপোর্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য মহামারি, যা অনেক দিন ধরে লুকিয়ে রয়েছে। এটি প্রতিটি দেশেই ঘটে এবং তা দ্রম্নত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।