সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত

তিন দফায় ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৫.১৯ শতাংশ

মরক্কো থেকে ২১০ কোটি টাকার সার ও টিসিবির জন্য প্রায় ৩৬৩ কোটি টাকার তেল-ডাল কেনার সিদ্ধান্ত, পিপিপিতে চালু হচ্ছে বিটিএমসির দুই বস্ত্রকল

প্রকাশ | ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্পের অপারেশন সাপোর্টের ব্যয় আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে এ প্রকল্পের ব্যয় তিন দফায় বাড়ল। তিন দফায় ব্যয় বেড়েছে ১৭০ কোটি টাকার বেশি বা ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। তৃতীয় দফায় প্রকল্পটির ব্যয় ৪৫ কোটি ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭০ টাকা বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকরি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মাধ্যমে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৫১২ কোটি ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭০ টাকা। সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া মরক্কো থেকে ২১০ কোটি টাকার সার এবং টিসিবির জন্য প্রায় ৩৬৩ কোটি টাকার তেল-ডাল কেনার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। সচিব জানান, সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে 'বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন' শীর্ষক প্রকল্পের অপারেশন সাপোর্টের তৃতীয় ভেরিয়েশন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন করেছে। তৃতীয় ভেরিয়েশন বাবদ ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৫ কোটি ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭০ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকল্পটির সংশোধিত চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫১২ কোটি ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭০ টাকা। জানা গেছে, প্রকল্পটির মূলচুক্তি মূল্য ছিল ৩ হাজার ৩৩৮ কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৯০ টাকা। প্রথম দফায় ব্যয় বাড়ানো হয় ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৮ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৯ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৬ টাকা। এরপর দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পটির ব্যয় আরও ৯০ লাখ ৩০ হাজার ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৮ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭৪ টাকা বাড়ানো হয়। এখন তৃতীয় দফায় ব্যয় ৪৫ কোটি ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭০ টাকা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রকল্পটির ব্যয় মোট বাড়ল ১৭৩ কেটি ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮০ টাকা। এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৩৬২ কোটি ৯২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার সয়াবিন তেল, পামওয়েল ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার সয়াবিন তেল, ১৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার পামওয়েল এবং ১০১ কোটি ৩০ লাখ টাকার মসুর ডাল রয়েছে। সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাব টেবিলে উত্থাপন করা হলে তিনটি প্রস্তাবেরই অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদ দেওয়া হয়েছে। এই সয়াবিন তেল কিনতে মোট খরচ হবে ৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫১ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের মূল্য ছিল ১৫২ টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের থেকে লিটারের এক টাকা কমে এবার সয়াবিন তেল কেনা হবে। সুপারিশকৃত দরদাতা সোনারগাঁও সিক্সক্রাসিং মিলস লিমিটেড। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে টিসিবির জন্য এক কোটি ৩০ লাখ লিটার পরিশোধিত পামওয়েল কেনার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৪৩ টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮৫ কোটি ৯০ লাখ। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান ঢাকার সুংসিং এডিবেল ওয়েল লিমিটেড। এ ছাড়া সরকার এক কোটি পরিবারকে যে সাপোর্ট দিচ্ছে তার আওতায় ট্রেডিং টিসিবির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ৩০ পয়সা। এ হিসাবে মোট দাম পড়বে ১০১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য মরক্কো থেকে ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় এ সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। চিফ মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিএডিসির আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে মরক্কো থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমায় আমাদের অনেক সাশ্রয় হয়েছে উলেস্নখ করে সচিব বলেন, সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২১০ কোটি ১০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য পড়বে ৪৭৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। এর আগের মূল্য ছিল ৫৪৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। পিপিপিতে চালু হচ্ছে দুই বস্ত্রকল :এদিকে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড (বিটিএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন সীতাকুন্ডের আর আর টেক্সটাইল ও রাজশাহী টেক্সটাইল মিলটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে ১ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, দুটি বস্ত্রকল পিপিপিতে চালু করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বিদু্যতের তিনটি প্রস্তাব সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অবলম্বন করে কেনার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বিটিএমসি নিয়ন্ত্রণাধীন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডস্থ আর আর টেক্সটাইল মিলটি পিপিপি ভিত্তিতে চালু করার লক্ষ্যে বেসরকারি অংশীদার নির্বাচনের জন্য চুক্তিতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভার কমিটি। বিটিএমসি নিয়ন্ত্রণাধীন আর আর টেক্সটাইল মিলটি ১৯৬৩ সালে ১৯ দশমিক ৪৮ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে। মিলটি ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত উৎপাদন চলমান ছিল। বন্ধ করা মিলটি পিপিপি ভিত্তিতে পুনঃচালু করার প্রস্তাব ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদিত হয়। তিনি বলেন, পরবর্তীতে বেসরকারি অংশীদার নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে যা কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। টিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদে সম্পাদিতব্য চুক্তি সইর অনুমোদন দেয় কমিটি। বেসরকারি অংশীদার মিলটির ভূমি ব্যবহার বাবদ আপফ্রন্ট প্রিমিয়াম হিসেবে এককালীন ১০ কোটি টাকা এবং তিন বছর গ্রেস পিরিয়ড শেষে পরবর্তী বছর থেকে তিন কোটি ২২ লাখ টাকা বিটিএমসিকে দেবে। চুক্তির মেয়াদ হবে ৩০ বছর যা সন্তোষজনক মেয়াদান্তে নবায়নযোগ্য। সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে বিটিএমসি নিয়ন্ত্রণাধীন রাজশাহী টেক্সটাইল মিলটি পিপিপি ভিত্তিতে চালু করার লক্ষ্যে বেসরকারি অংশীদার নির্বাচনের জন্য চুক্তি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিটিএমসি নিয়ন্ত্রণাধীন রাজশাহী টেক্সটাইল মিলটি ১৯৭৫ সালে রাজশাহীতে ২৬ দশমিক ৩৪ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। মিলটি ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত উৎপাদন চলমান ছিল। বন্ধ হওয়া মিলটি পিপিপি ভিত্তিতে পুনঃচালু করার প্রস্তাব ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে নীতিগত অনুমোদিত হয়। তিনি বলেন, পরবর্তীতে বেসরকারি অংশীদার নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হলে একটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে যা কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। টিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান চড়কা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদে চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এর ফলে বেসরকারি অংশীদার মিলটির ভূমি ব্যবহার বাবদ আপফ্রন্ট প্রিমিয়াম হিসেবে এককালীন ছয় কোটি টাকা এবং তিন বছর গ্রেস পিরিয়ড শেষে পরবর্তী বছর থেকে এক কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিটিএমসিকে দেবে। অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো: বিদু্যৎ বিভাগ কর্তৃক ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে বাবিউবো'র সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জরুরিভিত্তিতে সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হ পৃষ্ঠা ১৫ কলাম ১ পাওয়ার ইকু্যইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং থেকে ডিজাইন, সাপস্নাই, ইন্সস্টল্যাশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং অব স্মার্ট প্রিপ্রেমেন্ট মিটারস উইথ পিএলসি মডিউল অ্যান্ড থ্রি ইয়ার্স অপারেশনাল সাপোর্ট সার্ভিস ক্রয় কার্যটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি। এই ক্রয় কাজের আওতায় ৪০ হাজারটি সিঙ্গেল ফেজ মিটার, ৩২৫টি ডাটা কানেক্টর ইউনিট ক্রয় ও স্থাপন, বিদ্যমান পোস্টপেইড মিটার প্রতিস্থাপন এবং তিন বছরের অপারেশনাল সাপোর্ট সার্ভিস নেওয়া হবে। এ পর্যন্ত বাবিউবো'র ৫৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে। বৈঠকে নির্ধারিতে সময়ের মধ্যে বাবিউবোর সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার লক্ষ্যে জরুরিভিত্তিতে সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেক্ট্রিকাল কো. লি. থেকে ডিজাইন, সাপস্নাই, ইন্সস্টল্যাশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং অব স্মার্ট প্রিপ্রেমেন্ট মিটারস উইথ পিএলসি মডিউল অ্যান্ড থ্রি ইয়ার্স অপারেশনাল সাপোর্ট সার্ভিস ক্রয় কাজটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই ক্রয় কাজের আওতায় ৪০ হাজারটি সিঙ্গেল ফেজ মিটার, ৩২৫টি ডিইউসি ক্রয় ও স্থাপন, বিদ্যমান পোস্টপেইড মিটার প্রতিস্থাপন এবং তিন বছরের অপারেশনাল সাপোর্ট সার্ভিস নেওয়া হবে। বৈঠকে হবিগঞ্জের বিবিয়ানা দক্ষিণ চারশ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদু্যৎ কেন্দ্রের 'সাপস্নাই অব স্পেয়ার্স, কনজিউঅ্যাবলস অ্যান্ড সিডিউল মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কস ফর ৬ ইয়ার্স' কার্যটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিদু্যৎ কেন্দ্রটি ২০২১ সালের ৪ ফেব্রম্নয়ারি বাণিজ্যিকভাবে বিদু্যৎ উৎপাদন শুরু করে। ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৯৫ ঘণ্টা রানিং আওয়ার অতিক্রম করেছে। ২০২৩ সালের ২৭ জানুয়ারি তারিখ ইপিসি ঠিকাদারের ওয়ারেন্টি পিরিয়ড শেষ হয়। বিদু্যৎ কেন্দ্রটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সিডিউল মেইটেন্যান্স করা প্রয়োজন। বিদু্যৎকেন্দ্রে বিভিন্ন মালামালের মূল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিমেন্স, জার্মানি। তাই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে বিবিয়ানা দক্ষিণ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদু্যৎকেন্দ্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সরসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হতে পারে ৬৪৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪ টাকা।